ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ইউনিফিল (লেবানন) এ অংশ নিতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ১৩৫ জন নৌ সদস্যের চট্টগ্রাম ত্যাগ

News Picture Fসংবাদ বিজ্ঞপ্তি ::

চট্টগ্রাম ১৭ জুন ২০১৬ঃ লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন ব্যানকন-৭ (ইউনিফিল) এ যোগদানের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনীর ১৩৫ সদস্যের প্রথম গ্র“প বৃহস্পতিবার (১৬-০৬-২০১৬) রাতে চট্টগ্রামস্থ শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। উক্ত নৌ সদস্যবৃন্দ লেবাননে মোতায়েনকৃত নৌবাহিনীর জাহাজ আলী হায়দার ও নির্মূলে যোগদান করবেন। চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমান বন্দর ত্যাগের প্রাক্কালে কমান্ডার চট্টগ্রাম নৌ অঞ্চলের চিফ স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন এ কে এম এম শেরাফুল্লাহ, (এইচ-১), পিএসসি, বিএন লেবাননগামী নৌসদস্যদের বিদায় জানান। এসময় নৌবাহিনীর অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আগামী ২২ জুন ২০১৬ তারিখে দ্বিতীয় গ্র“পে আরও ১৩৫ জন নৌ সদস্য লেবাননের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে।

 বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ ‘আলী হায়দার’ ও ‘নির্মূল’ ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের সদস্য হিসেবে লেবাননে মোতায়েন রয়েছে। জাহাজ দুটি লেবাননের ভূ-খন্ডে অবৈধ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করতে দক্ষতার সাথে কাজ করে চলেছে। পাশাপাশি লেবানীজ জলসীমায় উক্ত জাহাজ দুটি মেরিটাইম ইন্টারডিকশন অপারেশন, সন্দেহজনক জাহাজ ও এয়ারক্রাফট এর ওপর গোয়েন্দা নজরদারী, দূর্ঘটনা কবলিত জাহাজে উদ্ধার তৎপরতা এবং লেবানীজ নৌসদস্যদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদানের কাজ করে যাচ্ছে। ভূ-মধ্যসাগরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে টহল প্রদানের মাধ্যমে নৌবাহিনীর এ জাহাজ দুটি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।

 উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গত ২০১০ সালে প্রথমবারের মত ভূ-মধ্যসাগরে মাল্টিন্যাশনাল মেরিটাইম টাস্কফোর্সের আওতায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর দুটি যুদ্ধজাহাজ ওসমান ও মধুমতি লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে। চার বছর সফলভাবে দায়িত্ব পালন শেষে গত ২০১৪ সালে উক্ত জাহাজ দুটির প্রতিস্থাপক হিসেবে বানৌজা ‘আলী হায়দার’ ও ‘নির্মূল’ লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত হয়।

বিশ্বের বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গত দুই দশকেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অত্যন্ত সফলতার সাথে অংশগ্রহণ ও দায়িত্ব পালন করে আসছে। লেবানন ছাড়াও দক্ষিন সুদানের নদী পথ, বেসামরিক ব্যক্তিবর্গকে চিকিৎসা ও নিরাপত্তা প্রদানসহ জরুরী পরিস্থিতিতে ডুবুরী সরবরাহ প্রদানের কাজে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফোর্স মেরিন ইউনিট-২ নিয়োজিত রয়েছে।

পাঠকের মতামত: