ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

লামায় বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন

‍ৃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর পলাতক খুনিদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে ১৪ আগষ্ট রবিবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন করেছে লামা উপজেলা, শহর ও মাতামুহুরী কলেজ ছাত্রলীগের নেতার্কমীরা। পরে উপজেলার নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ এর নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

রবিবার উপজেলা পরিষদের সামনে রাস্তায় প্রায় ১ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করে। উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান অতিথি ছিলেন লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা আবু মুসা ফারুকী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শেখ মাহাবুবুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা মংক্যহ্লা মার্মা, মো. শাহীন, মো. সাদ্দাম হোসেন সহ প্রমূখ।

সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার তথা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মধ্যে দিয়ে দেশের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, খুনিদের ফাঁসি দিয়ে তা পূরণ করতে সরকারকে অনুরোধ করে।

প্রধান অতিথি লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু খুন হয়। যে লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটির জন্ম হয়েছিল সেই লক্ষ্যকে পেছনে রেখে উল্টো পথে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ। স্বাধীন একটি দেশের স্বাভাবিক পথ চলা ব্যহত হলো। দীর্ঘ মুক্তি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সৃষ্টি হওয়া বাংলাদেশ তার গন্তব্য হারাল।

বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পেছনে খুনিদের যে উদ্দেশ্য কাজ করেছিল তা হচ্ছে বাংলাদেশের নব যাত্রাকে উল্টোপথে অর্থাৎ পরাজিত পাকিস্তানের অনুসরণীয় পথেই ঠেলে দেওয়া। একটি রাষ্ট্রের জন্মের মাত্র পাঁচ বছরের মধ্যে তার স্রষ্ঠাকে স্ব-পরিবারে খুন করে দেশোদ্ধারের চেষ্টা কোন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের ভাবনায় আসতে পারে না। এটি দিবালোকের মতো পরিষ্কার ছিল যে, বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতাকে খুন করা হলে বাংলাদেশে মারাত্মক নেতৃত্ব শূন্যতা তৈরি হবে। ঠিক তাই হয়েছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের পর। সেই শূন্যতা আজও পূরণ হয়নি, আজও বাংলাদেশ ফিরে পায়নি তার স্বাভাবিক নেতৃত্ব। আর তাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব চোখ বন্ধ করে ছুটছে পাকিস্তানের পথে। সেই ধর্মান্ধতা, সেই অন্ধকার, সেই অরাজকতা, সেই সামরিক স্বৈরতন্ত্রের পথেই যেন বাংলাদেশ ছুটে চলতে না পারে সেদিকে সবার খেয়াল রাখা উচিত। এই রকম এক প্রেক্ষাপটে আজ এই শোকের দিনে আমাদের তাই নতুন করে শপথ নিতে হবে বাংলাদেশকে তার জন্মলগ্নের অঙ্গীকারে ফিরিয়ে নেয়ার। আর এটিই হবে বঙ্গবন্ধুকে প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম পথ।

পাঠকের মতামত: