ঢাকা,শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বাজেট ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ ব্যাখ্যা রিজভীর

image_157477_0নিজস্ব প্রতিবেদক  ::

ঢাকা: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সমালোচনা পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলার ব্যাখ্যা দিয়েছে বিএনপি জ্যেষ্ঠ মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “প্রতিক্রিয়াশীল বাজেট এজন্য বলে যে, এই বাজেট মানুষের বিপক্ষে, গণবিরোধী। অর্থমন্ত্রী ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ শব্দের মানে বুঝতে পারবেন না। কারণ, তিনি এরশাদের মন্ত্রী ছিলেন এবং কখনো কোনো গণতান্ত্রিক সরকারের মন্ত্রী ছিলেন না। তার ‘মানসিকতা’ এখনো পরিবর্তন হয়নি।

শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে রিজভী এসব কথা বলেন।

ষষ্ঠ ও শেষ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পরিস্থিতি তুলে ধরতে দলের পক্ষ থেকে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বাজেটকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ আখ্যা দেন।

অর্থমন্ত্রী গতকাল শুক্রবার বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে রিজভীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা মধ্যম অবস্থানে থেকে বামপন্থার রাজনীতি ধারণ করেন, তারা হলেন প্রগতিশীল এবং যারা মধ্যম অবস্থানে থেকে ডানপন্থার রাজনীতি ধারণ করেন, তারা হলেন প্রতিক্রিয়াশীল। আর বাংলাদেশ হলো প্রগতিশীল দেশ।

অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ রিজভী বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ‘গণবিরোধী’। রুটি, আটার দাম বাড়ানো, কৃষি যন্ত্রপাতির দাম বাড়ানো এবং বেকারদের কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় প্রস্তাবিত বাজেট মানুষের পক্ষে যায়নি। এটাকে ‘প্রতিক্রিয়াশীল’ বলা হয়।

রিজভী বলেন, অর্থমন্ত্রী নিজে কখনো রাজনীতি করেননি। ব্যক্তিগত জীবনে আমলা ছিলেন এবং এরশাদের মন্ত্রী ছিলেন, যার কারণে তার এই শব্দের মানে না বোঝারই কথা।

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী অভিযোগ করেন, ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় কেন্দ্র দখল করে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারছে।

রিজভী বলেন, ‘একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করতে হলে জাতিকে ভাবনাচিন্তাহীন, কল্পনাহীন, স্বপ্নহীন, বিচার-বিবেচনাহীন ও নির্বোধ করতে হয়। আর এ জন্য একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি তৈরি করতে সরকারি প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ স্থানীয় সরকারে নিজেদের লোক দরকার। ৭৫–এর বাকশাল এভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছিল।

সরকার কোণঠাসা হয়ে পড়ায় স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান করে বিজয়ী হওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই স্থানীয় সরকারে তাদের একতরফা নিজেদের লোক দরকার, তা না হলে একদলীয় ব্যবস্থা কায়েম করা যায় না। সে জন্যই ভোটারবিহীন সরকার কর্তৃক স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এত অনাচার, বর্বরতা, জবরদখল, পৈশাচিকতা, রক্তপাত, প্রাণহানি, ডাকাতি, চুরিসহ এক বীভৎস অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছে।’

পাঠকের মতামত: