বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, আমরা আগেও বলছি, এখনও বলছি অবশ্যই আমরা নির্বাচনে যাবো। তবে সেই নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে খালেদা দিয়া বলেন, ‘এখন তারা তাদের সম্পদ গোটাতে ব্যস্ত। কাজেই তারা পালাবার জন্য তৈরি হোক আর আমরা জনগণকে নিয়ে দেশ রক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকি।’
মঙ্গলবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের অধীনে আমরা অনেক নির্বাচন দেখেছি। সেগুলো কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি এবং ভবিষ্যতেও হবে না। সেজন্য আমরা পরিষ্কারভাবে জাতিকে সিদ্ধান্ত দিয়ে দিয়েছি।’
দল ও অঙ্গসংগঠনকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করার তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের সব সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে, শ্রমিক দলকেও পূণর্গঠন করতে হবে। যতই আমাদের সংগঠন শক্তিশালী হবে ততই এই লুটেরাদের ভয় বাড়বে। তারা জানে, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জনগণ তাদেরকে ভোট দেবে না।’ শ্রমিক দলের ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাতে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে এই মতবিনিময় করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা খালেদা জিয়াকে পুষ্পস্তবক নিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বক্তব্য দেন।
ক্ষমতাসীন দলের ‘বেপরোয়া’ কর্মকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, ‘তারা (ক্ষমতাসীন দল) এতোই বেপরোয়া হয়ে গেছে, তারা মানুষকে মানুষ মনে করে না। তারা মনে করে পুলিশ বাহিনী আছে আমাদের। তাদের দিয়ে যা ইচ্ছা তাই করবো।’
গুম, খুন, হত্যা ও নির্যাতনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরাসরি দোষারোপ না করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, ‘সরকার তাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছে এই সব অন্যায় কাজ করার জন্য। র্যাব বা পুলিশ বাহিনী তারাও মানুষ, তারাও বুঝতে পারবে, তাদেরও পরিবার আছে, আত্মীয়-স্বজন আছে। তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) নিশ্চয় জানে যে, তাদেরকে দিয়ে এসব কাজ জোর করে করাচ্ছে। হুকুমদাতারা পালাবার পর তাদের ওপরই এই অন্যায়-অপরাধের দোষ পড়বে।’
পাঠকের মতামত: