ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

প্রতিটি হত্যার দায় সরকারকেই নিতে হবে: খালেদা

khaleda ziaনিউজ  ডেস্ক  :::

ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, “তাভেলা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে জুলহাজ মান্নান ও মাহবুব রাব্বী তনয় এবং রুস্তম আলী পর্যন্ত প্রতিটি হত্যার দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।”
 মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। তিনি মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সাবেক প্রটোকল কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান, তাঁর বন্ধু মাহবুব রাব্বী তনয় ও কারারক্ষী রুস্তম আলীকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
 সাম্প্রতিক সব হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

বিবৃতিতে খালেদা জিয়া বলেন, “মানুষের নিরাপত্তা, মানুষের অধিকার, ভোটাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র, শান্তি, স্বস্তি, নিরাপত্তা এখন লাশবাহী গাড়িতে। বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার সহিংস রক্তপাত ঘটানো ছাড়া তাদের টিকে থাকার অন্য কোনো পথ খোলা নেই। দেশ পরিচালনায় যেহেতু জনগণের সমর্থন নেই সেহেতু খুন-জখম টিকিয়ে রাখাকেই তারা পরিত্রাণের পথ মনে করছে।”
 খালেদা জিয়া বলেন, “দেশে যেকোনো হত্যার ঘটনায় নিজেদের স্বার্থে অতি অবিশ্বাস্য কল্পকাহিনী রচনা করা আওয়ামী লীগের স্বভাবধর্ম। কিছুদিন ধরে দেশব্যাপী বিভিন্ন ধর্ম সম্প্রদায় ও বিদেশি হত্যার ঘটনাগুলোতেও তারা একের পর অপপ্রচার চালিয়েছে। বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করেছে। ভোটারবিহীন সরকারের এই সমস্ত অপকৌশল মূলত প্রকৃত ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া ও আসল অপরাধীদের আড়াল করা। সরকারপ্রধান যতই উচ্চস্বরে বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করুন না কেন, তাভেলা হত্যাকাণ্ড থেকে শুরু করে জুলহাজ মান্নান, মাহবুব রাব্বী তনয় ও রুস্তম আলী পর্যন্ত প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের দায় এই সরকারকেই নিতে হবে।”

বিবৃতিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন আরো বিপজ্জনক। দেশের মানুষ এক ভয়াল নৈঃশব্দের মধ্যে আতঙ্কে দিনযাপন করছে। ব্যাংকার, শিক্ষক, এনজিওকর্মী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, ছাত্র, নারী, শিশুসহ অনেককেই রাষ্ট্রযন্ত্রের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে জীবন দিতে হয়েছে। সরকার সর্বক্ষেত্রে একচেটিয়াত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে গণতন্ত্রের পাশাপাশি রাজনৈতিক, সামাজিক ভারসাম্যকেও চরমভাবে ভেঙে ফেলেছে। সর্বক্ষেত্রে দলীয়করণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রের সব অঙ্গ নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। সুতরাং চারদিকে অরাজকতারই জয়জয়কার। দেশে হত্যা, হানাহানি, রক্তপাত, অপহরণ, গুম, মুক্তিপণ আদায়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড প্রচণ্ড আধিপত্য বিস্তার করেছে।”

খালেদা জিয়া বলেন, “সুস্থ পরিবেশে গণতন্ত্র চর্চা এখন কেবল কবরেই সম্ভব। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার কারণেই ক্ষমতাসীন দলের সশস্ত্র ক্যাডাররা উৎসাহিত হয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করে, ব্যালট পেপারে বেপরোয়া সিল মারে এবং অস্ত্রের মুখে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়; খুন-জখমসহ নানাবিধ অনাচারে লিপ্ত থেকে দেশকে অতল গহ্বরের দিকে ঠেলে দেয়। তাই দেশে শান্তিপ্রিয় সাধারণ মানুষ এখন আর স্বাভাবিক মৃত্যুর আশা করে না।”

পাঠকের মতামত: