অনলাইন ডেস্ক :: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘যখন পুলিশ সাংবাদিকতা করবে, তখন বুঝতে হবে যে সব শেষ। পুলিশকে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। ওরা তো নিজেরাই বলে যে বাতির রাজা ফিলিপস, মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা পুলিশ।’
আজ শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরাম ও বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম আয়োজিত ‘তারেক রহমানের ১৪তম কারামুক্তি দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘এদের কাছেই এখন সব ক্ষমতা। পুলিশ যখন চোর-ডাকাত ধরা বাদ দিয়ে এই কাজ করবে, তখন তার কাছে কী আশা করা যাবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘চারদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে। চাঁদা আদায় করছে গরিব মানুষকে আটকে রেখে। পুলিশ অফিসার ধর্ষণে অভিযুক্ত হচ্ছে। আর এর মধ্যে তারা আবার নতুন কাজ শুরু করেছে। পুলিশ সাংবাদিকতা করবে। এটা কিন্তু সূদুরপ্রসারী।’
আমলাদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘আপনি জেলায় ডিসি অফিসে যান, দেখবেন ওখানে কোনো প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের চেয়ে তারাই বেশি আওয়ামী লীগের দায়িত্ব পালন করে। আওয়ামী লীগ নাই তো এখন। এখন সব আমলালীগ।’
ফখরুল বলেন, ‘দেশে এখন গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। তথ্যমন্ত্রী বলছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাইরে থেকে যেসব টিভি ও ভিডিও চালানো হচ্ছে, তা প্রচার করার জন্য এখান থেকে অনুমতি নিতে হবে।’
মেগা প্রজেক্টে দুর্নীতি হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেদিন দেখলাম মেট্রো রেল উদ্বোধন করছে। মানুষ খুশি। বলছে পরিবর্তন হবে। পরিবর্তন কি শুধু ঢাকায় এই কয়েকজন মানুষের জন্য? সাধারণ মানুষের পরিবর্তন কোথায়? সবকিছুর দাম বেড়েছে। চাল, তেল, আলু, চিনির দাম আকাশচুম্বী।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার বলে তারা নাকি করোনা নিয়ন্ত্রণে সফল। এদিকে টিকা সংগ্রহ হবে কোথা থেকে? কীভাবে সংগ্রহ করা হবে? কবে টিকা পাবো আমরা তার কোনো নিশ্চয়তা নাই। জনগণের সমস্যার সমাধান না করে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নদিকে ঘোরাতে তারা এখন আবোলতাবোল বলছে। জিয়াউর রহমান তারেক রহমানকে নিয়ে মিথ্যাচার করছে। এদেরকে জনগণের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।’
বাংলাদেশকে তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায় আওয়ামী লীগ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমানে বিএনপির কোনো সংকট নেই। সেটা জাতির এবং দেশের সংকট।’
তিনি বলেন, ‘এখন মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে, বাংলাদেশে প্রতিবাদ হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে, তা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে সংগঠিত হতে হবে। যুবক-তরুণদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত: