ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

টেকনাফে ১০ হাজার জেলে পরিবারের মাছে বিরাজ করছে আতংক ও হতাশা

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::

64টেকনাফ নাফনদীর উপকুলীয় ১০ হাজার জেলে পরিবার গুলোতে বিরাজ করছে আতংক ও হতাশা। কারন এই নদীতে জেলেরা প্রতিনিয়ত মাছ শিকার করতে গিয়ে হচ্ছে বিপদ গ্রস্ত, বাধা গ্রস্ত। আবার মাঝে-মাঝে এই জেলেদেরকে মাছ শিকার করা অবস্থায় ধরে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীরা।

বিভিন্ন সুত্রে আরো জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের ব্যবধানে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১ শতাধিক জেলে মিয়ানমার কারাগারে আটকা পড়ে আছে। আবার অনেক জেলে মাছ শিকার করতে গিয়ে মিয়ানমার বিজিপির গুলিতে আহত ও নিহত হচ্ছে। এভাবে বাংলাদেশী জেলারা মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপি বাহিনীর হাতে প্রতিনিয়ত হচ্ছে আটক, হচ্ছে লাঞ্চিত, হচ্ছে নির্যাতিত। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল ৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার সকাল ৬টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের উত্তর চৌধুরী পাড়া এলাকার ৫ জন জেলে নাফনদীতে মাছ শিকার করতে যায়। মাছ শিকার করা অবস্থায় সকাল ৮টার দিকে মিয়ানমার বিজিপি সদস্যরা জেলেদেরকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কবীর আহম্মদের পুত্র দুই সস্তানের জনক নুরুল আমীন (২৬) নিহত হয়। এবং একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে মো. মুর্তুজা (২৪) গুলিবিদ্ধ হয়ে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এই ঘটনাটির সুত্রপাত হয় টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভীপাড়ার ২ নং সুইচ গেইট এলাকায় বলে জানা যায়। এর পর তাদেরকে স্থানীয় জেলেদের সহযোগীতায় উদ্ধার করে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা। আহত জেলে মুর্তজাকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য  কক্সবাজার সদর হাসপাতলের উদ্দেশ্যে প্রেরন করা হয়েছে।

এদিকে আহত জেলে মো. মুর্তুজার সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৬টার দিকে তারা ৫জন এক সাথে নাফনদীতে মাছ ধরতে যায়। এর পর মাছ শিকার করা অবস্থায় হঠাৎ করে   মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি সদস্যরা বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে তাদের নৌকা লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোঁড়ে। এতে নুরুল আমিন নিহত হয়। এসময় নৌকায় থাকা নুরুল হাকিম নামে আরোও এক জেলে নাফনদীতে লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যায়।

এব্যাপারে টেকনাফ ২ বিজিবি অধিনায়ক লে: কর্নেল আবু জার আল জাহিদ জানান, বিষয়টি খুবেই দু:খ জনক। আমরা মিয়ানমার বিজিপি কতৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তাদের দাবি বাংলাদেশী জেলেরা মিয়ানমারের জলসীমায় মাছ শিকার করতে গেলে তাদেরকে থামতে বললে তারা পালানোর চেষ্টা করে। তিনি আরো বলেন, জেলেদের ওপর গুলিবর্ষণ করে বিজিপি সীমান্ত চুক্তির লঙ্গন করেছে। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের কাছে প্রতিবাদ লিপি পাঠানো হবে বলে জানান।

পাঠকের মতামত: