ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত হাকিমকে নির্মুল করতে ঐক্যবদ্ধ জনতার সমাবেশ

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::
টেকনাফে রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিমকে নির্মুল করার জন্য এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে গড়ে তুলেছে প্রতিরোধ। অত্র এলাকার সাধারন মানুষের উপর হাকিম ডাকাতের লাগাতার অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া লোকদের মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে হাকিমের নানা অপকর্মের ইতিহাস।
হাকিম ডাকাত কর্তৃক নারী ধর্ষন, গুম, খুন ও অপহরনের নানা কূকর্মের তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এবার এই কুখ্যাত ডাকাত রোহিঙ্গা হাকিমের বিরুদ্ধে জনতা প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪ টায় টেকনাফ উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে পুরান পল্লান পাড়া, নতুন পল্লান পাড়া, নাইট্যংপাড়া, ইসলামাবাদ ও ধুমপ্রাংবিল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার শতশত নারী-পুরুষ ও যুবক স্বতস্ফুর্তভাবে অংশ গ্রহন করে প্রতিবাদ জানান।
সভায় ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু হারেছ, ফিরোজ আহমদ, নুরুল কবির, জহির আহমদ, মনির আহমদ, এনামুল হাসান মাতব্বর, শাহ আলম, নুরুল আলম, মোঃ সেলিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা বলেন, অনেক মায়ের বুক খালী করেছে, নারীদের ইজ্জত কেড়েছে, অপহরণ করে লাখ লাখ টাকা মুক্তিপন আদায় করেছে এই হাকিম ডাকাত। কিছু দেশীয় দালালের জন্য এলাকাবাসীর ঘুম হারাম হয়েছে। এসব দালালদের প্রতি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বক্তারা আরো বলেন, এই ডাকাতের ভয়ে ৩৫ পরিবার এলাকা ছাড়া হয়েছে। এবার প্রতিরোধ করা হবে। এখন থেকে সাবধান হয়ে যাও, নয়তো প্রাণ থাকবেনা। বক্তারা আরো বলেন, তার হাতে এ পর্যন্ত সাবেক মেম্বারসহ অনেকে হত্যার শিকার হয়েছে। অপহরণ হয়েছে অনেক যুবক, ধর্ষনের শিকার হয়েছে অসংখ্য যুবতী।
বক্তারা টেকনাফ থানার ওসি মঈন উদ্দীন খানের প্রসংশা করে বলেন, গত প্রায় ৫ বছর ধরে এই হাকিম ডাকাতের উত্থান হলেও এ পর্যন্ত তাকে গ্রেফতারে কোন প্রশাসন অভিযানে যায়নি। বতর্মান ওসি সাহসিকতার সাথে অভিযান চালিয়ে তার আস্তানা থেকে নাইট্যং পাড়ার জালাল আহমদ নামে এক যুবককে উদ্ধার করেছে। এধরনের অভিযান চালিয়ে অনতি বিলম্বে হাকিম ডাকাতকে আটকের আহবান জানান।
এদিকে গত সোমবার দূর্ধর্ষ রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম ও তার সহযোগীদের বিক্ষুদ্ধ জনতা সংঘবদ্ধ হয়ে বৈদ্দ ঘোনা এলাকায় ৪টি, মোনাফ ঘোনায় ১টি, মায়মুনা প্রাইমারি স্কুল ও স্থানীয় মোঃ হারেছ কাউন্সিলরের বাসা সংলগ্ন ২ টি বসতবাড়ী ভাংচুর করে।
গত শুক্রবার স্থানীয় এক যুবককে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরনের ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। অবশ্য পুলিশ ও জনতা গত রোববার পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে অপহৃত যুবককে উদ্ধার করে। এঘটনার পর থেকে স্থানীয় লোকজন হাকিম ডাকাতের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠে।
প্রতিশোধ নিতে হাকিম ডাকাত যে কোন সময় রাতের অন্ধকারে স্থানীয়দের উপর হামলা চালাতে পারে বলে আশংকা করছেন। হাকিম ডাকাত গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত এ আতংক কাটবেনা বলেও জানান এলাকাবাসী। তাই রাতের বেলায় এলাকার যুবকরা রাত জেগে পাহারার ব্যবস্থা করছে বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত: