ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

টেকনাফে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবনতা

গিয়াস উদ্দিন ভুলু, টেকনাফ ::

টেকনাফ শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত থাকা অসাধু রোহিঙ্গাদের অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

মানুষ হত্যা, মাদক পাচার থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যা তারা সংগঠিত করছে না। তাদের কারনে টেকনাফ উপজেলা আইনশৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংখা রয়েছে। এতে অত্র এলাকার সাধারন মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে নানা প্রকার আতংক। রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মের হয়রানির শিকার হচ্ছে স্থানীয়রা। বলতে গেলে টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত অপরাধ সৃষ্টি হচ্ছে তথ্য সুত্রে দেখা যায় প্রত্যেকটি অপরাধের জড়িত আছে রোহিঙ্গা। কারন তারা বেশী টাকার লোভে পড়ে একজন মানুষকে হত্যা করতে একটুও চিন্তা করেনা। রোহিঙ্গা অপকর্মের ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ৩১ আগস্ট শুক্রবার বিকাল তিনটার দিকে টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়ন লেদা আন-রেজিষ্ট্রাট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুর্বশত্রুতার জের ধরে দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা সৃষ্টি হয়েছে। উক্ত ঘটনায় লেদা শরনার্থী ক্যাম্প এফ ব্লকের একজন রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। খবর শুনে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) তদন্ত এস,এম আতিক উল্লাহ নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে এরপর গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গা যুবকের লাশটি উদ্ধার করে। সুত্রে জানা যায়,হ্নীলা আলিখালী এলাকার সাবেক রোহিঙ্গা কালাচাঁনের পুত্র সন্ত্রাসী ছৈয়দ আলম (৩২),রিদোয়ান (২২) পুর্বশত্রুতার জের ধরে লাইনে পানি নেওয়ার সময় সামান্য কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সুত্রপাত সৃষ্টি হয়। নাম প্রকাশে অনিশ্চুক বেশ কয়েকজন রোহিঙ্গার সাথে কথা বলে জানা যায়,নিহত ইয়াসের ও সৈয়দ আলম,তার ভাই রিদোয়ানের দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা কারবারে জড়িত ছিল। তারা মনে করছেন ইয়াবার টাকা লেনদেন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে এই গোলাগুলি সংগঠিত হয়েছে বলে জানায় তারা।

এব্যাপারে স্থানীয়রা অভিমত ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন,যে ভাবে দিনের পর দিন রোহিঙ্গারা নানা অপকর্মে জড়িত হয়ে মানুষ হত্যাসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম সংগঠিত করছে। এই ভাবে চলতে থাকলে তাদের অপকর্ম গুলো স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। তার পাশাপাশি স্থানীয় যুব সমাজও সন্ত্রাসী কার্য্যক্রমসহ নানা অপরাধে জড়িত হয়ে অত্র এলাকার আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে। টেকনাফ উপজেলা আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদেরকে সাঁড়াশী ও যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এই সমস্ত রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের আইনের আওতাই নিয়ে আসারও দাবী জানান তারা।

লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংগঠিত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, গোলাগুলিতে নিহত হওয়া মোঃ আলী ইয়াসের নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান এখনো চলছে। তিনি আরো বলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত নানা অপরাধে জড়িত থাকা চিহ্নিত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আইনের আওতাই নিয়ে আসার জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।##

পাঠকের মতামত: