টেকনাফ প্রতিনিধি ::

টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রায় ১০ হাজার ইয়বাসহ এক যুবককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। আটক যুবক হল হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার মীর কাশেমের ছেলে শাহাবুদ্দিন (২৬) বলে জানায়। আজ গোপন সংবাদে দমদমিয়া বিওপির সুবেদার মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জাদিমোরা বরাবর নাফ নদী সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি চালান মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে এমন খবরে ওই স্থানে গমন করে নাফ নদীর কিনারায় অবস্থান নিয়ে বিজিবির টহলদল ওঁৎ পেতে থাকে। এই সময় টহল দল ৬ জন লোককে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় তাদের চ্যালেঞ্জ করে।

বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই উল্ল্যেখিত ব্যক্তিগণ তাদের হাতে থাকা ১টি ব্যাগসহ দ্রুত দৌঁড়ে কেওড়া বাগানের ভিতর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহলদল তাদের পিছু ধাওয়া করে। একপর্যায়ে টহলদল অক্লান্ত পরিশ্রম করে শাহাবুদ্দীনকে ইয়াবার ১টি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। অন্যান্য আসামিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে টহলদল ঘটনাস্থলে উপস্থিত বেসামরিক ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে আটককৃত আসামির নিকট হতে প্রাপ্ত ব্যাগটি তল্লাশি চালিয়ে ৯ হাজার ৯৭০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য ২৯ লাখ ৯১ হাজার টাকা। আটক শাহাবুদ্দীনের স্বীকারোক্তিতে ইয়াবা পাচারে জড়িত হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপড়া এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (১৮), মো. নুর (২০), নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সালাম (৩০), লম্বা মৌলবীর ছেলে মোস্তফা কামাল (৩৫) ও  মো. ইউনুছ (৩৫) পলাতক আসামি করা হয়।

টেকনাফস্থ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে, কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখার দায়ে ধৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ধৃত আসামিসহ জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।