ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব: জবি’র তিন শিক্ষককে অব্যাহতি

17e_109764_0সি  এন ডেস্ক ::::
নিজ বিভাগের এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মীর মোশারেফ হোসেন (রাজীব মীর) এবং তাকে সহযোগিতার অভিযোগে আরও দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল ছাত্রীর ওই অভিযোগের ভিত্তিতে রাজিব মীরকে এমএসএস শ্রেণির একাডেমিক ও অন্যান্য কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য অফিস আদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অফিস আদেশের স্মারক নম্বর (জবি/প্রশা-১(২৩৭)/২০১১/১১৭০)। রাজীব মীরকে সহযোগিতার অভিযোগে একইসঙ্গে আরও দুই শিক্ষক বর্ণনা ভৌমিক ও প্রিয়াঙ্কা সরকারকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়, যখন রাজীব মীর ওই ছাত্রীকে হুমকি দেন তখন ওই দুই শিক্ষক তাকে সহায়তা করবেন বলে জানান, যা মোবাইলে রেকর্ড আছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, মাস্টার্সের ওই ছাত্রী রাজিব মীরের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলন, অনৈতিক প্রস্তাব ও মোবাইল ফোনে তার কথামতো না চললে নম্বর কম দেয়ার হুমকি দেন। পরে ওই ছাত্রী ফোনের অডিও রেকর্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় এ ব্যাপারে এখনই মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। তবে একটি কথা সুস্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা অভিযোগকারী কিংবা অভিযুক্ত কারো পক্ষে অবস্থান নেব না। আমরা চাই সত্যটা উন্মোচিত হোক।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান ঢাকাটাইমসকে বলেন, তদন্ত কমিটির প্রাথমিক সুপারিশের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ আরও দুইজনকে সাময়িক অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পরবর্তী ব্যবস্থা তদন্ত প্রতিবেদনের পর নেয়া হবে।

অভিযুক্ত শিক্ষক মীর মোশারেফ হোসেন (রাজীব মীর) ঢাকাটাইমসকে বলেন, নবীন বরণের আয়োজন ও হিসাব-কিতাব নিয়ে বিভাগীয় চেয়ারম্যানকে আমরা তিনজন প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি এতে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। এটা আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। তিনি দাবি করেন, তাদেরকে অব্যাহতি দেয়ার ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসরণ করা হয়নি। এ ব্যাপারে তারা আইনি পদক্ষেপ নেবেন।

প্রসঙ্গত, এর আগেও গত বছরে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ার অভিযোগে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন বিভাগের এক শিক্ষককে তিন বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

পাঠকের মতামত: