ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

কর্ণফুলীতে মানববন্ধন: দখলমুক্ত ‘ইছানগর খাল’ চায় এলাকাবাসী

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :: চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নে ইছানগর গ্রামের শাখা খালটি প্রভাবশালী কতৃক দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেল ৫টায় বিএফডিসি গেইট সংলগ্ন বাজারে খালটি দখলমুক্তের দাবিতে এলাকাবাসী ও সাম্পান মাঝিরা মানববন্ধন করেন। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মানববন্ধনে সাম্পান মাঝিরা দুই ঘন্টা কর্মবিরতি দেন।
কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এস এম পেয়ার আলীসভাপতিত্বে মানববন্ধনে প্রধান বক্তা ছিলেন কর্ণফুলী গবেষক চট্টগ্রাম কলেজ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ ইদ্রিচ আলী।

নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন, পরিবেশ ফোরাম ও সাম্পান সমিতির আয়োজনে মানববন্ধনটিতে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ও ইছানগর বাংলাবাজার সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা আলিউর রহমান, ইছানগর এলাকার সমাজসেবক হাজী মির্জা বশর, সিনিয়র সহ-সভাপতি জাফর আহম্মেদ ছাড়াও চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি, ইছানগর কর্ণফুলীঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি, তোতার বাপের হাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি, অভয়মিত্র ঘাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতি, নয়াহাট সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতিসহ ৮টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে শাখা খালটি দখল করার চেষ্টা করছে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। ২০১৩ সাল থেকে সাধারণ মানুষ প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করে আসছেন। কিছুদিন দখল বাণিজ্য বন্ধ রাখলেও এখন আবারো দখলের পাঁয়তারা শুরু করছে। কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণপাড় ইছানগর গ্রামে শাখা খালটি মান্ধাতার আমল থেকে চলমান। গ্রামের শত শত মানুষ প্রতিদিন শহর থেকে সওদা করে সাম্পান যোগে ঐ খাল দিয়ে আসা যাওয়া করে। কিন্তু বেশ কিছুদিন যাবত ক্ষমতার দাপটে এবং স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যুদের যোগসাজেসে খালটি দখলে নিতে স্থাপনা নির্মাণের চেষ্টা করছে শিপ বিল্ডার্স লিঃ। এতে দীর্ঘদিনের চলাচলের খালটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইছানগরবাসী খালটি দখলদারিত্ব থেকে মুক্তি চায়। কেননা বর্তমান সরকার সারাদেশে অবৈধ খাল দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আমাদের দাবি একই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ইছানগর খাল দখল মুক্ত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।
অভিযোগের বিষয়ে জনতে কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এম এ রশিদ এর মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ফোন রিসিভ না করায় কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

পাঠকের মতামত: