নিউজ ডেস্ক :: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৩৯৯ জন। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জন।
আজ রবিবার (৯ আগস্ট) করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩১ জন পুরুষ এবং তিনজন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে চারজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ৩৯৯ জনের।
এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৬৮৬ জন এবং নারী ৭১৩ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ৩৩ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৮৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২১৮ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪৭১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯৭১ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ৫৯৯ জন।
জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ছয়জন, খুলনা বিভাগের সাতজন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের দুইজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন এবং বাসায় দুইজন।
বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ৬২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৮০৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ২১৩ জন, খুলনা বিভাগের ২৫৯ জন, বরিশাল বিভাগের ১৩২ জন, সিলেট বিভাগের ১৫৮ জন, রংপুর বিভাগের ১৩৪ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৭২ জন।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৭৬৬ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৩৭০ জন।
ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১১ হাজার ১৪টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৭৫৯টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৪৮৭ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ ৫৭ হাজার ৬০০ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ৬০ হাজার ৩১৯টি।
ব্রিফিংয়ের শুরুতেই জানানো হয়, করোনা সন্দেহে নমুনা পরীক্ষায় দেশে আরো একটি বেসরকারি পরীক্ষাগার সংযোজিত হয়েছে। এটি হচ্ছে রাজধানীর নোভা’স কেমিক্যাল রিসার্চ সার্ভিস লিমিটেড। এ নিয়ে করোনা পরীক্ষায় দেশে মোট পরীক্ষাগারের সংখ্যা দাঁড়াল ৮৫টিতে।
আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬২৮ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৭১৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৫৬ হাজার ৬৬৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭২৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৯৪০ জন।
কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন দুই হাজার ৫৬ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ৫২ হাজার ৩৭৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ২৫৮ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৮ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫২ হাজার ৭৪০ জন।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৬২ হাজার ৫০১টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ফোনকল এসেছে এক কোটি ৮৫ লাখ ২৪ হাজার ৬৪৩টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
টেলিমেডিসিন সেবায় প্রতিদিন ৩৫ জন চিকিৎসক এবং ১০ জন স্বাস্থ্যতথ্য কর্মকর্তা দুই শিফটে মোট ৯০ জন টেলিমেডিসিনে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় তাঁদের স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করেছেন চার হাজার ৩১৫ জন। এ পর্যন্ত এক লাখ ৮২ হাজার ৩৪১ জন এই সেবা গ্রহণ করেছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।
পাঠকের মতামত: