ডেস্ক নিউজ :::
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রায় বিপুল পরিমাণে নতুন নোট বাজারে ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা সমপরিমাণ। আগামী বৃহস্পতিবার (৮ জুন) থেকে নতুন নোট বাজারে ছাড়া হবে, যা ২২ জুন পর্যন্ত পাওয়া যাবে। এবারও বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে এক ব্যক্তি একবার মাত্র নতুন টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। কেউ আট হাজার ৭০০ টাকার বেশি নতুন নোট সংগ্রহ করতে পারবেন না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী মুখপাত্র জী. এম. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল, সদরঘাট, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট অফিস এবং ২০টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এই নতুন নোট ছাড়া হবে।
এদিকে সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আসন্ন ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে আগামী ৮ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত (সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত) বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন অফিসের কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে নতুন নোট বিনিময় করা হবে। এছাড়া, ঢাকা শহরের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ২০টি শাখাসমূহ থেকেও ২ টাকা থেকে ৫০ টাকা মূল্যমান পর্যন্ত নতুন নোট প্রতিটি একটি প্যাকেট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বিনিময় করা হবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, একই ব্যক্তি একাধিকবার নতুন নোট গ্রহণ করতে পারবেন না। তবে নোট উত্তোলনকালে কেউ ইচ্ছা করলে কাউন্টার থেকে পরিমাণ নির্বিশেষে যে কোনও মূল্যমানের ধাতব মুদ্রা গ্রহণ করতে পারবেন।
যে সব শাখায় পাওয়া যাবে নতুন টাকা- ন্যাশনাল ব্যাংকের ঢাকার যাত্রাবাড়ী শাখা; জনতা ব্যাংকের আব্দুল গণি রোডের শাখা; অগ্রণী ব্যাংকের এলিফ্যান্ট রোড শাখা; দি সিটি ব্যাংকের মিরপুর শাখা; সাউথইস্ট ব্যাংকের কাওরান বাজার শাখা; সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বসুন্ধরা সিটি (পান্থপথ) শাখা; উত্তরা ব্যাংকের চকবাজার শাখা; সোনালী ব্যাংকের রমনা কর্পোরেট শাখা; ঢাকা ব্যাংকের উত্তরা শাখা; আইএফআইসি ব্যাংকের গুলশান শাখা; রূপালী ব্যাংকের মহাখালী শাখা; ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের মোহাম্মদপুর শাখা; জনতা ব্যাংকের রাজারবাগ শাখা; পূবালী ব্যাংকের সদরঘাট শাখা; শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের মালিবাগ শাখা; ওয়ান ব্যাংকের বাসাবো শাখা; ইসলামী ব্যাংকের শ্যামলী শাখা; ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড এগ্রিকালচার শাখা; মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বনানী শাখা এবং ব্যাংক এশিয়ার ধানমণ্ডি শাখা।
পাঠকের মতামত: