মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::::
বান্দরবানের লামার আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন কোং এর হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহের হাত থেকে রক্ষা পেল ২ নারী।
জানা গেছে, ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বাছুরী পাড়ার বাসিন্দা মো. সিরাজ মিয়া ও শাকেরা বেগমের ১ম কন্যা নুরজাহান আক্তার মুন্নি (২১) এর সাথে লোহাগাড়া উপজেলার কিল্লাখোলা ফারাঙ্গা বাসিন্দা মৃত আব্দুর রহমান ও মাহমুদা খাতুনের বড় পুত্র মো. আব্দুল মন্নান (৬০) এর সাথে বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়। প্রীতিভোজ থেকে শুরু করে সবকিছু শেষ করে কবুল বলার বাকী ছিল। কাজীর প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত জনাব আহামদ কবির উভয়ের জন্মনিবন্ধন জমা দিতে বললেন জন্মনিবন্ধন দেখে তিনি থমকে গেলেন। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসল আসল কথা বয়সের বিশাল ব্যবধানের চিত্র। এ ব্যক্তি পূর্ব বিবাহিত। তার ৪ জন সন্তান রয়েছে এবং দিত্বীয় বিয়েতে প্রথম স্ত্রী অনুমতি নেই। ইউপি চেয়ারম্যান জসীম উদ্দিন কোং এর কড়া নির্দেশ কোন অবস্থাই এ বিয়ে হবেনা। বহুবিবাহরোধে একটি সাহসী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়ায় সচেতনমহল ধন্যবাদ জানিয়েছেন চেয়ারম্যানকে।
অপরদিকে, ১২ আগষ্ট শুক্রবার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড চিউনী পাড়ার আব্দুল কাদের ও মোমেনা খাতুনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন(১৮) এবং মৃত শওকত ও মনোয়ারা বেগমের মেয়ে সুফিয়া বেগম (১৪) এর সাথে বিবাহ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের বিয়ের জন্য নকল পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধনও তৈরি করা হয়েছিল। বিশ্বস্থসূত্রে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন কোং খবর পেয়ে বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন এবং প্রতারনার জন্য আইনী ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।
বাল্যবিবাহ ও বহুবিবাহ বন্ধে চেয়ারম্যান জসিম উদ্দীন কোং বলেন, ইতিমধ্যে পাড়ায় মহল্লায় নির্দেশ দিয়েছেন যে, ইউনিয়ন পরিষদকে অবহিত না করে কাজীরা কোন বিবাহ সম্পন্ন করতে পারবে না। আরো দেখা যায় কিছু কিছু পরিবার তাদের মেয়েকে কারো সাথে পরামর্শ না করে রোহিঙ্গাদের সাথে ভুয়া কাজীর মাধ্যমে বিয়ে দেন। পরবর্তীতে কিছুদিন পর রোহিঙ্গাটি বউ ফেলে চলে যায়। তারপর আইনী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ থাকেনা। একপর্যায়ে মেয়েটি ও তার সন্তানের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এতে করে অবহেলিত মেয়েটি খারাপ পথে পা বাড়াতে বাধ্য হয়। সকলের সম্মিলিত সহযোগিতায় সুন্দর আজিজনগর বিনির্মান সম্ভব বলে তিনি মত প্রকাশ করেন।
পাঠকের মতামত: