ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

প্রতি মাসের অবৈধ আয় ১০লাখ টাকা

চকরিয়া আবাসিক বিদ্যুৎ প্রকৌশলীর কার্যালয়টি দূর্নীতির আখঁড়ায় পরিনত

নিজস্ব প্রতিবেদক :: কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নিয়ন্ত্রাধীন চকরিয়া আবাসিক বিদুৎ প্রকৌশলীর কার্যালয়টিতে দূর্নীতি বাসা বেঁধেছে।
এ অফিসের অধীনে প্রায় ২৯হাজার আবাসিক,বাণিজ্যিক, সেচ প্রকল্প, টমটম চার্জিং স্টেশন, বৃহৎ শিল্প, মাজারী ও ক্ষুদ্র শিল্পের গ্রাহক রয়েছে।
বিদ্যুৎ অফিসের দূর্নীতিবাজ কতিপয় কর্মকর্তা দালালদের মাধ্যমে প্রতিমাসে অবৈধভাবে আয় করছে লাখ লাখ টাকা।
একজন নতুন গ্রাহক অনলাইনে মিটারের জন্য আবেদন করলে নানা অজুহাতে তাকে জিম্মি করে আদায় করে হাজার হাজার টাকা অথচ বিদুৎ প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশ রয়েছে কোনো গ্রাহক মিটারের জন্য আবেদন করলে ৭দিনের মধ্যে তাকে মিটার সংযোগ দিতে।
লোড বৃদ্ধি বাণিজ্য : বৃহৎ, ক্ষুদ্র ও মাজারী শিল্পের গ্রাহকদেরকে ৩ফেইজ বাণিজ্যিক মিটারে গ্রাহকদের লোড অতিরিক্ত হলে প্রতি গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে অবৈধভাবে ঘুষ নেয়া হয় প্রায় ১০লাখ টাকা।
খুটি বাণিজ্য :
প্রধানমন্ত্রী দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শতভাগ বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত কল্পে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন।
চকরিয়ার বিদ্যুৎ অফিসের দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা বৈদ্যুতিক খুটি বসাতে ও সংযোগ দিতে অবৈধভাবে দালালদের মাধ্যমে প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা করে উৎকোচ আদায় করছে।
টেম্পার টোকেন বাণিজ্য : প্রিপেইড মিটার বন্ধ হলে টেম্পার টোকেন লাগবে বলে ১৬০০টাকা করে গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করা হয়।
আদায়কৃত ওই টাকা ব্যাংকে জমা দিতে হবে বলে গ্রাহকদেরকে জানান,গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে ওই টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজ কম্পিউটারে একটা টোকেন দিয়ে কারিগরি লাইনের মানুষ দিয়ে মিটারটি চালু করে হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা।
এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির সাথে জড়িত রয়েছে ওই অফিসের একজন আবাসিক প্রকৌশলী সহ ৩জন উপসহকারী প্রকৌশলী।
অনভিজ্ঞ আবাসিক প্রকৌশলী ৩০হাজার গ্রাহকের সেবা দেয়ার অভিজ্ঞতা এখনো অর্জন করেন নি। এ অভিমত ভূক্তভোগী গ্রাহকদের। উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে রয়েছে অসংখ্য অভিযোগ। গ্রাহকরা এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাঠকের মতামত: