ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ইনানীর দুশ্চিন্তায় থাকা ২শ মানুষের মুখে ফুটলো হাসি!

উখিয়া প্রতিনিধি ::
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউনে দীর্ঘদিন পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়ে পড়ে উখিয়ার ইনানী সৈকতের পর্যটন নির্ভর জীবিকা নির্বাহ করা ফটোগ্রাফার, ভাসমান দোকানদার ও বীচবাইক চালকরা।

শনিবার(১০জুলাই) সকাল ১১টায় ইনানী হ্যালিপ্যাড মাঠে হঠাৎ এসে হাজির হন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো.নাসিম আহমেদ। পরে কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন। এসময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ,সহকারী কমিশনার(ভুমি),প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন ও স্থানীয় চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে লকডাউনে কর্মহীন হয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা পর্যটন নির্ভর জীবিকা নির্বাহ করা মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি। তাদের একজন মো. সায়েম। লকডাউনে পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় দিন কাটে সায়েমের মতো ২০০ ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক চালক ও ভাসমান দোকানদারদের মুখে ফুটলো হাসি। খাদ্য সহায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত বীচ বাইক চালক নুরুল ইসলামও। তিনি বলেন,দীর্ঘদিন দুশ্চিন্তায় দিন কাটে। হঠাৎ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পেয়ে অনেক খুশি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, লকডাউনে কর্মহীন অবস্থায় থাকা পর্যটন নির্ভর ২০০জন ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক চালক ও ভাসমান দোকানদারদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। পর্যায়ক্রমে আরও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন,লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। কক্সবাজারের যেসব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে সবার মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে। এসময় ট্যুরিস্ট পুলিশ, সিপিপি সদস্যবৃন্দ ও বীচকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পাঠকের মতামত: