ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক

বাহাদুর দম্পতির ঘরে নতুন অতিথি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :: আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণবিষয়ক ইউনিয়ন (আইইউসিএন) বনগরুকে ‘লাল তালিকা’ভুক্ত করেছে। বাংলাদেশেও বন্য প্রাণীটি বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্তে। এ পটভূমিতে কক্সবাজারের চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক থেকে পাওয়া গেল সুখবর। সম্প্রতি দুটি বাচ্চা প্রসব করেছে ‘রানি বাহাদুর’। এ নিয়ে পার্কে বনগরুর সংখ্যা দাঁড়াল ছয়ে।

বনগরু বা গাউর বা গৌর নামে পরিচিত এই প্রাণীটিকে ভারতীয় বাইসনও বলা হয়। বাংলাদেশে অনেকে এটিকে গয়াল বলে ভুল করলেও গয়াল আলাদা প্রাণী। এর আদিনিবাস বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। পুরুষ প্রজাতির একটি বনগরু প্রায় ২৫ বছর এবং স্ত্রী প্রজাতির বনগরু বাঁচে ২৩ বছর।

পার্কের বন্য প্রাণী চিকিৎসক মো. মোস্তাফিজুর রহমান চকরিয়া নিউজকে বলেন, বাচ্চা দুটি সুস্থ ও সবল রয়েছে। তাদের নিয়মিত পরিচর্যা করা হচ্ছে। প্রায় সাত মাস মায়ের দুধ খেয়ে বড় হবে বাচ্চাগুলো। বাচ্চাদের নিয়ে ফুরফুরে সময় কাটছে খান বাহাদুর-রানি বাহাদুর জুটির।

পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, আট বছর আগে পার্কে আনা হয় পুরুষ বনগরু খান বাহাদুরকে। তিন বছর পর তার সঙ্গী হিসেবে আনা হয় রানি বাহাদুরকে। এরপর তিন দফায় চারটি বাচ্চা দিল রানি বাহাদুর। শেষবার একসঙ্গে দুটি বাচ্চা হয়েছে তার; এর মধ্যে একটি পুরুষ, অন্যটি স্ত্রী প্রজাতির।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক মো. মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, পার্কে আসার পর সঙ্গীহীন খান বাহাদুর মনমরা থাকত। সঙ্গী পাওয়ার পর স্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে।

চট্টগ্রাম বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এবং চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের প্রকল্প পরিচালক আবু নাছের মো. ইয়াছিন নেওয়াজ চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘একসময় দেখা গেলেও বর্তমানে বনগরু দেখা যায় না। এই অবস্থায় পার্কের আবদ্ধ পরিবেশে পর পর তিনবারে চারটি বাচ্চার প্রজনন একটি মাইলফলক।’

প্রসঙ্গত, আট বছর আগে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা থেকে পাচারের সময় সেনাবাহিনীর একটি দল বনগরুর পুরুষ প্রজাতির একটি বাচ্চা উদ্ধার করে। এরপর আইনি প্রক্রিয়া শেষে সেটিকে (খান বাহাদুর) চকরিয়ার বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে দেওয়া হয়।

পাঠকের মতামত: