ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজ নিয়ে কারসাজি জড়িত টেকনাফের ১২ জনের সিন্ডিকেট

বলরাম দাশ অনুপম ::  অভিযান, তদারকি, জরিমানা এবং প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরও যেন কমানো যাচ্ছে না পেঁয়াজের দাম। প্রতিদিনই বাড়ছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। মূলত টেকনাফের ১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটটি ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে মিয়ানমারের পেঁয়াজ অল্প দামে এনে দ্বিগুণ থেকে ত্রিগুণ মূল্যে বিক্রি করে যাচ্ছে। তবে এবার হার্ডলাইনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। পেঁয়াজের পকেট কাটা টেকনাফের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনকে বলা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।

৫০ টাকার নিচে পাইকারীতে পেঁয়াজ কিনে শত টাকায় বিক্রির সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের প্রাথমিক তালিকায় আছে কক্সবাজার টেকনাফের আমদানিকারক সজিব, মম, জহির, সাদ্দাম, বিক্রেতা ফোরকান, গফুর, মিন্টু, খালেক, টিপু, টেকনাফ স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট কাদের, কমিশন এজেন্ট (ব্রোকার) শফি, টেকনাফের মেসার্স আলিফ এন্টারপ্রাইজ। আর এদের সাথে সিন্ডিকেট করেছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমির ভান্ডার, মেসার্স আল্লার দান স্টোর, স্টেশন রোডের নূপুর মার্কেটের মেসার্স সৌরভ এন্টারপ্রাইজ ও ঘোষাল কোয়ার্টারের এ হোসেন ব্রাদার্স। বুধবার শহরের বড় বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে পাইকার ও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে মিয়ানমারের ছোট পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১২০টাকা, বড় পেঁয়াজ কেজি প্রতি ১৩০ টাকা, মিসর থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১২০ টাকা আর চায়না পেঁয়াজ কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সবগুলো পেঁয়াজ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ৮০-৯০ টাকা কেজি ধরে। এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার দোকান মালিক মালিক ফেডারেশনের সভাপতি আলহাজ¦ মোস্তাক আহমদ চৌধুরীও। তিনি বুধবার দুপুরে এই প্রতিবেদকে বলেন-আমদানি কম হওয়ার কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও মূল বিষয়টা টেকনাফ স্থল বন্দরে। সেখানকার স্থল বন্দরের যারা ব্যবসায়ী রয়েছে দাম বাড়ানোর পেছনে তারাই জড়িত। কারণ তারা ওই স্থান থেকে মিয়ানমার থেকে আমদানিকৃত পেঁয়াজ ৪০-৫০ টাকায় কিনে অধিক দামে পাইকারদের কাছে বিক্রি করছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে সিন্ডিকেটের তালিকার কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়ে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ মাসুদুর রহমান মোল্লা বলেন-এই ধরনের কোন সুপারিশও আমাদের হাতে পৌঁছায়নি। তবুও বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।

পাঠকের মতামত: