ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

সার্টিফিকেট বাণিজ্যে ৮ কোটি টাকা আয়, দুদকের দুই মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  বগুড়ায় এক ডজন ভুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে সার্টিফিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত এ এফ এম নূরুল ইসলাম (৫২) ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের (৪১) বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সংস্থাটির বগুড়া জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে সোমবার তাদের নামে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। একই সংস্থার অপর সহকারী পরিচালক রবীন্দ্রনাথ চাকী মামলা দুটি রেকর্ড করেন।

মামলা দুটিতে এ এফ এম নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে ৭ কোটি ৯৬ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ৮২ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকা অবৈধ ভাবে অর্জনের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত দুজন বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বগুড়া কারাগারে রয়েছেন।

মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও আকলিমা দম্পতিকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন জানানো হবে।

দুদক সূত্র জানায়, নুরুল ইসলাম বগুড়া বিএড কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, চারুকলা ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট ও মেডিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন নামে ১২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী ভর্তি এবং সার্টিফিকেট বাণিজ্য করে আসছেন। প্রতারণার ওই অর্থ তিনি তার স্ত্রী আকলিমার ব্যাংকেও জমা করেন। একপর্যায়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা চলতি বছরের ১৪ জুলাই অভিযুক্ত নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমাকে গ্রেপ্তার করেন।

দুদক কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে নুরুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার পর তাদেরকে নিজ নিজ সম্পদের হিসাব দাখিলের জন্য চলতি বছরের ২৫ জুন পৃথকভাবে চিঠি দেওয়া হয়। তারা দুজন সেই চিঠি গ্রহণ করলেও পরবর্তী সময়ে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আটক থাকার কারণে সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য ১৫ দিনের সময় চেয়ে আবেদন করেন। অবশ্য তার পর তাদের কেউই আর সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি। পরে দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, নুরুল ইসলাম স্থাবর ও অস্থাবর মিলে ৭ কোটি ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং তার স্ত্রীর নামে আরো ৮২ লাখ ৪ হাজার ৪৬৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। অবৈধভাবে অর্জিত ওই সম্পদের তথ্য তারা গোপন করেছেন। যে কারণে অভিযুক্ত ওই দম্পতির বিরুদ্ধে দুদক মামলা করেছে।

পাঠকের মতামত: