ডেস্ক রিপোর্ট ::
অভিবাসন সংক্রান্ত দু’দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করছে সরকার। আগামী মে মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠেয় এই সম্মেলনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে জোরালোভাবে উপস্থাপন করতে চায় সরকার। একইসঙ্গে এই সমস্যা সমাধানে বৈশ্বিক অভিবাসন প্রশাসনে (Global Migration Regime) ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
নিউ ইয়র্কে ‘আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও উন্নয়ন’ শীর্ষক জাতিসংঘের চলমান অভিবাসন সপ্তাহে কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক এ বিষয়ে আলোকপাত করেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সাধারণ পরিষদের সভাপতি আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের আলোচনায় প্যানেলিস্ট হিসেবে প্রদত্ত বক্তব্যে পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশ সরকারের চূড়ান্ত বিবেচনাধীন জাতীয় অভিবাসন কাঠামোর বিষয়ে এই সভাকে অবহিত করেন।
এর আগে আজ দুপুরে ফ্রেন্ডস্ অব মাইগ্রেশন এর কো-চেয়ারদের আয়োজিত একটি ইভেন্টে সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব।
এখানে তিনি মিশ্র অভিবাসন, মানবপাচার, অনিয়মিত অভিবাসনসহ অভিবাসনের জটিল বিষয়গুলো নিরসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় অভিবাসন কাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আইওএম এর মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিতোরিনো, জাতিসংঘে নিযুক্ত আয়ারল্যান্ডের স্থায়ী প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ পরিষদের সভাপতির সঙ্গে বৈঠক
অভিবাসন সপ্তাহের উচ্চ পর্যায়ের ইভেন্টগুলোতে যোগদানের পাশাপাশি বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি (পিজিএ) মারিয়া ফার্নান্দে এস্পিনোসা’র সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক।
সচিব আগামী মে মাসে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিতব্য অভিবাসন সংক্রান্ত সম্মেলনে পিজিএকে অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানান।
জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেনের গঠনমূলক ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন মারিয়া।
এর আগে মঙ্গলবার ইউএন ডেসা আয়োজিত এক্সপার্ট সিম্পোজিয়াম অন ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভোলপমেন্ট-এ অংশ নেন পররাষ্ট্র সচিব।
অভিবাসী ও শরণার্থী বিষয়ক জাতিসংঘের দুটি কম্প্যাক্টসহ এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একযোগে কাজ করা এবং আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য সুশীল সমাজসহ সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্র সচিব।
পাঠকের মতামত: