কক্সবাজার অফিস :: উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্পের পাশ্ববর্তী কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পূর্বপাশ্বে উখিয়ার ঘাট বনবিটের অধীন বন বিভাগের জায়গা দখল করে বিশাল এলাকাজুড়ে এনজিও সংস্থা ঢাকা আহছনিয়া মিশন স্থাপনা নির্মান করে যাচ্ছে।এ বিষয়ে উখিয়ার ঘাট বিট কর্মকতা শহীদুল আলম এনজিওটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে।
জানা যায়,রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা এনজিও সংস্থা ঢাকা আহছানিয়া মিশন বনবিভাগের জায়গায় একের পর এক স্থাপনা নির্মান করে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে তারা ব্যবহার করছে স্থানীয় ভাবে প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের। বিশেষ যেখানে যার প্রভাব বেশী তার মাধ্যমেই ঐ এলাকার বনবিভাগের জায়গা দখল নিয়ে স্থাপনা নির্মান শুরু কওে তারা। এরি ধারাবাহিকতায় কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের পূর্ব পার্শে টিভি টাওয়ারের সন্নিকটে উখিয়ার ঘাট মৌজার আর,এস-১৬৫ নং দাগের প্রায় ২৫ একর বনবিভাগের জায়গা জুড়ে এনজিওটি নির্মান করে যাচ্ছে স্থায়ী স্থাপনা। এনজিওটি এখানেও ব্যবহার করছে বালুখালী গ্রামের মৃত জুনু মিয়ার ছেলে জহিরুল ইসলামের নাম। এ ব্যাপারে উখিয়ার ঘাট বিট কর্মকর্তা শহীদুল আলম রক্ষিত বনভুমি দখলকারী ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্থাপনা নির্মান বন্ধ ও কার্য্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ দায়ের করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী অভিযোগ পাওয়ার পর ঢাকা আহছানিয়া মিশনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করে। কিন্ত কারণ দর্শনোর নোটিশ প্রদানের পরও অদৃশ্য ইরাশায় এখনো ঢাকা আহছানিয়া মিশন উক্ত বনভ’মির জায়গায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উখিয়াস্থ কর্মকর্তা অহিদুল আলম বলেন,বনভুমির জায়গায় স্থানীয় জহিরুল ইসলাম স্থাপনা নির্মান করছে,এখানে ঢাকা আহছানিয়া মিশন কোন ভাবেই দায়ী নয়। আমরা তার ভাড়াটিয়া মাত্র। তিনি আরো বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নোটিশের জবাব দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনে উনার সাথে বসে বিষয়টির সন্তোষজনক সমাধান করা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান বলেন,বনবিভাগের জায়গায় স্থাপনা নির্মান বিষয়ে তাদেরকে কারণ
দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। পরে তারা একটি জবাব পাটিয়েছে। কিন্ত তাদের পাটানো জবাবটি গ্রহনযোগ্য নয়। পরবর্তিতে এ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
পাঠকের মতামত: