ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নারী সাংবাদিকের নগ্ন ভিডিও ইন্টারনেটে এবং…

eirina_104202_0সি এন ডেস্ক :::

ফক্স স্পোর্টসের ক্রীড়া প্রতিবেদক(সাংবাদিক) আইরিন অ্যান্ড্রিউজের নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নাসভিলের ম্যারিয়ট হোটেলে অবস্থানের সময় ঐ ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল।এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এই সাংবাদিক হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং ভিডিও ধারণকারীর বিরুদ্ধে ৭৫ মিলিয়ন ডলারের মামলা টুকে দিয়েছেন আদালতে।মামলাটির শুনানি চলছে।ভিডিওটি যখন ধারণ করা হয় তখন তিনি ইএসপিএনে কাজ করতেন। খবর ডেইলি মেইল অনলাইনের।

মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে আদালতে জবানবন্দি দেন আইরিন অ্যান্ড্রিউজ।

এই সময় আদালতে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আইরিন অ্যান্ড্রিউজ বলেন, যে মেয়েটি খেলাধুলাকে ভালোবেসে কিছু একটা হতে চেয়েছিল। আর এখন সেই আমি হোটেল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছি।

ডেইল মেইলের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালে এই ম্যারিয়ট হোটেলে থাকা অবস্থায় আইরিনের নগ্ন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করা হয়। তখন তিনি ইএসপিএনে কাজ করতেন। এক বছর পরে ২০০৯ সালে ভিডিওটি অনলাইনে পোস্ট করা হয়। এরপর ভিডিওটি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। আর এই কারণেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন আইরিন।

আইরিন আদালতে বলেন, ভিডিওটি ছড়ানোর পর থেকে প্রতিদিনই আমাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে। আমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করা হয়। মাঠের দর্শক সারি থেকে চিৎকার করে আমাকে লক্ষ্য করে তির্যক মন্তব্য ছুঁড়ে দেয়া হয়। নগ্ন ভিডিওটি সম্পর্কে প্রতিদিনই আমাকে বিভিন্ন মন্তব্য শুনতে হয়। এতে আমি খুবই বিব্রত এবং লজ্জাবোধ করি।

আইরিন অ্যান্ড্রিউজ আরও বলেন, আমি জানি আমি ভালো নেই। এই পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হচ্ছে আমাকে। মানসিক চিকিৎসকের সরণাপন্ন হতে হয়েছে আমাকে।

এই ভিডিও চিত্রটি ধারণ করেছিল মাইকেল ডেভিড ব্যারেট(৪৬) নামে এক ব্যক্তি। দোষী প্রমাণিত হওয়ার পর আদালত তাকে ২১ বছরের জন্য কারাগারে পাঠায়।

ডেভিড ব্যারেট আদালতে জানায়, সে আইরিন অ্যান্ড্রিউজকে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছিল। কারণ আইরিন অনেক জনপ্রিয় এবং ইয়াহুতে তাকে অনেক সার্চ করা হতো।

মাইকেল ডেভিড ব্যারেট ইলিনয়নস অঙ্গরাজ্যের একজন বীমা কর্মকর্তা। সে আইরিনকে অনুসরণ করে নাসভিলেতে আসে। সে হোটেল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে আইরিন অ্যান্ড্রিউজ কোন কক্ষে উঠেছেন তা জানেন এবং পাশের কক্ষটিতে উঠেন। এরপর সে দরজার ছিদ্র দিয়ে আইরিনকে দেখতেন। একদিন তিনি আইরিনের গোসল করার শব্দ শুনতে পেলেন। তখন তিনি তার মোবাইল ফোনের ক্যামেরা দরজার ফুটোতে দিয়ে আইরিনের নগ্ন দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেন। আইরিন তখন কাপড় বদলাচ্ছিলেন।

জবানবন্দিতে ডেভিড ব্যারেট বলেন, টাকার জন্যই তিনি কাজটি করেছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, ভিডিও চিত্রটি বিক্রির জন্য লোকের অভাব হবে না।

পাঠকের মতামত: