ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার জেল গেইট এলাকায় পুলিশ সোর্স পরিচয়ে চাঁদাবাজি

কক্সবাজার প্রতিনিধি ::

কক্সবাজার শহরের নতুন জেল গেইট সহ আশপাশের এলাকায় থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারি এক যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি করে বিভিন্ন লোকজনকে হুমকী ধমকী দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে; এ নিয়ে অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কক্সবাজার নতুন জেল গেইটসহ আশপাশের এলাকার ভূক্তভোগী ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, মোহাম্মদ ইউনুছ (২৮) সহ সঙ্গীয় আরো কয়েকজন মিলে জেল গেইটসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে তুলেছে একটি দুর্বৃত্ত চক্র। চক্রটির সদস্যরা বিভিন্নভাবে হয়রানির হুমকী দিয়ে স্থানীয় সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে।
চক্রটির প্রধান ইউনুছ থানা পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগে জানান একাধিক ভূক্তভোগী।
এ নিয়ে হয়রানির শিকার জেল গেইট এলাকার বাসিন্দা মো. নাসির উদ্দিন জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চক্রটির প্রধান ইউনুছ সহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে সর্বশেষ গত ২০ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন বলে জানান কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুল আজম।
এতে অভিযুক্তরা হল, নতুন জেল গেইট এলাকার মৃত দুলু মিয়ার ছেলে মো. ইউনুছ (২৮) ও তার ভাই মো. ভুলু মিয়া (২৫) এবং ইউনুছের কর্মচারী পরিচয় দানকারি রোহিঙ্গা নাগরিক মো. জাফরের ছেলে নুরুল আলম সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫ জন।
ভূক্তভোগী লোকজন জানিয়েছেন, থানার সোর্স পরিচয় দানকারি ইউনুছসহ তার নেতৃত্বে গড়ে উঠা চক্রটির সদস্যরা চাঁদা দাবি করে নানাভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সাধারণ লোকজনকে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখায়। এতে কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার উপর নেমে আসে নির্যাতন। তারপরও রাজী করাতে না পারলে অস্ত্র ও ইয়াবাসহ পুলিশে তুলে দেয়ার হুমকী-ধমকী প্রদর্শন করে। তাদের অত্যাচারে এলাকার সাধারণ অতিষ্ট হলেও জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
থানায় নথিভূক্ত হওয়া ডায়েরীর বরাত দিয়ে ভূক্তভোগী নাসির উদ্দিন বলেন, কক্সবাজার শহরের নতুন জেল গেইট সংলগ্ন এলাকায় জমি লাগিয়ত নিয়ে গত ৩ বছর মৎস্য খামার গড়ে তুলি। এতদিন ধরে শান্তিপূর্ণভাবে মৎস্য খামারটি পরিচালনা করে আসলেও গত মাসখানেক সময় ধরে কিছু দূর্বৃত্তের হুমকীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন।
“কক্সবাজার সদর থানার সোর্স পরিচয় দানকারি মো. ইউনুছ নামের এক যুবকসহ আরো কয়েকজন গত ১৫/২০ দিন আগে পুলিশে দেয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে নানাভাবে হয়রানির হুমকী দেয়।”
ভূক্তভোগী নাসির বলেন, “হুমকী ধমকী দেয়ার পর দূর্বৃত্ত চক্রটির দাবি করা চাঁদা না দেয়ায় মৎস্য খামারের ক্ষতিসাধন সহ অস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার ভয় দেখায়। এ নিয়ে চক্রটির সদস্যরা তার কাছে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।”
এরপরও চক্রটির হাতে চাঁদা দিতে রাজী না হওয়ায় প্রাণনাশের হুমকী দেয় বলে অভিযোগে জানান ভূক্তভোগী এ ব্যক্তি। এ নিয়ে কক্সবাজার সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামরুল আজম বলেন, সোর্স পরিচয়ে চাঁদা দাবিকারি নতুন জেল গেইট এলাকার মো. ইউনুছ নামের কোন যুবকটি সম্পর্কে থানা পুলিশের এ ধরণের কোন লোক নেই। গত ২০ অক্টোবর নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি এ ধরণের একটি ডায়েরী করেছেন। এটি নথিভুক্ত করে সংশ্লিষ্টদের এ ব্যাপারে খোঁজখবর জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পাঠকের মতামত: