ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

রোহিঙ্গাদের মধ্যে সাড়ে ৪ হাজার গরু-ছাগলের মাংস বিতরণ

নিউজ ডেস্ক ::
উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত প্রায়ই ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের কোরবানির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে দাতা ও সেবা সংস্থাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পশুর টার্গেটও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সব রোহিঙ্গাকে ঈদের প্রথম দিন মাংস দিতে পারেনি প্রশাসন।

সূত্র জানায়, রাখাইনের বাস্ত্যুচুত ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য কমপক্ষে ১২ হাজার পশুর দরকার। কিন্তু সড়কে যানজট, শ্রমিক সংকট ও নানা কারণে এখনো দাতা ও সেবা সংস্থারা সব পশু দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজামান বলেন, ঈদের প্রথম দিনে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৬০০ গরু ও ২০টি ছাগল জবাই করা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ৭০টি গরু দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কুতুপালং ৫, ৬ ও ১৭ নং ক্যাম্পের সবাই কোরবানির মাংস পেয়েছে। এর পাশাপাশি ৩ ও ৪ নং ক্যাম্পের ৫০ ভাগ রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস সরবরাহ করা হয়েছে। ২৯ নম্বর ক্যাম্প সহ এর আশেপাশের কয়েকটি অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অন্যদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, টেকনাফে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। প্রথমদিনে এখানে ৫০০ গরু ও ৩০০ ছাগল জবাই করো হয়েছে। এখানকার প্রত্যেকেই মাংস পেয়েছে। বৃহস্পতিবারও কিছু কাঁচা মাংসের প্যাকেট আসবে। সেগুলো তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় কমপক্ষে ৬০ শতাংশ রোহিঙ্গা কোরবানির মাংস পায়নি।

এ বিষয়ে মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পেরে ই-ব্লকের বাসিন্দা নুর জাহান বেগম বলেন, রাখাইনে সহায় সম্বল ফেলে এখানে এসেছি। সেখানে থাকতে আমাদের পরিবার কোরবানি দিত। কিন্তু এখানে তো সেই ক্ষমতা নেই। এবছর সহ দু’বছর কোরবানির মাংস খেতে পারিনি।

বালুখালি ক্যাম্পের সি-ব্লকের রোহিঙ্গা যুবক আবু তাহের বলেন, আমাদের এ ক্যাম্পের অনেকেই মাংস পেয়েছে আবার অনেকে পায়নি।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনজার্চ মো. রেজাউল করিম বলেন, সব রোহিঙ্গা পরিবারকে ২ কেজি করে মাংস দিলেও কমপক্ষে ১০/১২ হাজার বড় সাইজের গরু দরকার। কিন্তু এনজিও এবং দাতা সংস্থাগুলো সময়মত পশু দিতে পারেনি। এছাড়া ছোট আকারের গরু হওয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরণে হিমশিম খেতে হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কোরবানির প্রথমদিনে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার গরু ও ৫০০ ছাগলের মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরো হাজার খানেক পশু জবাই করা হবে। শুক্রবার রোহিঙ্গাদের মাংস, পেয়াজ, চাল, ডাল সহ ১০ হাজার ৭০০টি প্যাকেট বিতরণ করা হবে।

এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা আরো পশু নিয়ে আসছে। নানা সমস্যার কারণে তারা এখনো পথে রয়েছে। সব পরিবারকে পর্যায়ক্রমে কোরবানির মাংস সরবরাহ করা হবে।

ডেস্ক ::
উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রিত প্রায়ই ১২ লাখ রোহিঙ্গাদের কোরবানির মাংস দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। সেই লক্ষ্যে দাতা ও সেবা সংস্থাদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পশুর টার্গেটও নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় সব রোহিঙ্গাকে ঈদের প্রথম দিন মাংস দিতে পারেনি প্রশাসন।

সূত্র জানায়, রাখাইনের বাস্ত্যুচুত ১ লাখ ৯৫ হাজার রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য কমপক্ষে ১২ হাজার পশুর দরকার। কিন্তু সড়কে যানজট, শ্রমিক সংকট ও নানা কারণে এখনো দাতা ও সেবা সংস্থারা সব পশু দিতে পারেনি।

এ বিষয়ে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজামান বলেন, ঈদের প্রথম দিনে রোহিঙ্গাদের জন্য ২৬০০ গরু ও ২০টি ছাগল জবাই করা হয়েছে। এছাড়া রোহিঙ্গাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে ৭০টি গরু দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, কুতুপালং ৫, ৬ ও ১৭ নং ক্যাম্পের সবাই কোরবানির মাংস পেয়েছে। এর পাশাপাশি ৩ ও ৪ নং ক্যাম্পের ৫০ ভাগ রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস সরবরাহ করা হয়েছে। ২৯ নম্বর ক্যাম্প সহ এর আশেপাশের কয়েকটি অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার অন্যদের মধ্যে মাংস বিতরণ করা হবে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রবিউল হাসান বলেন, টেকনাফে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৭টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প। প্রথমদিনে এখানে ৫০০ গরু ও ৩০০ ছাগল জবাই করো হয়েছে। এখানকার প্রত্যেকেই মাংস পেয়েছে। বৃহস্পতিবারও কিছু কাঁচা মাংসের প্যাকেট আসবে। সেগুলো তাদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।

চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না পাওয়ায় কমপক্ষে ৬০ শতাংশ রোহিঙ্গা কোরবানির মাংস পায়নি।

এ বিষয়ে মধুরছড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পেরে ই-ব্লকের বাসিন্দা নুর জাহান বেগম বলেন, রাখাইনে সহায় সম্বল ফেলে এখানে এসেছি। সেখানে থাকতে আমাদের পরিবার কোরবানি দিত। কিন্তু এখানে তো সেই ক্ষমতা নেই। এবছর সহ দু’বছর কোরবানির মাংস খেতে পারিনি।

বালুখালি ক্যাম্পের সি-ব্লকের রোহিঙ্গা যুবক আবু তাহের বলেন, আমাদের এ ক্যাম্পের অনেকেই মাংস পেয়েছে আবার অনেকে পায়নি।

উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনজার্চ মো. রেজাউল করিম বলেন, সব রোহিঙ্গা পরিবারকে ২ কেজি করে মাংস দিলেও কমপক্ষে ১০/১২ হাজার বড় সাইজের গরু দরকার। কিন্তু এনজিও এবং দাতা সংস্থাগুলো সময়মত পশু দিতে পারেনি। এছাড়া ছোট আকারের গরু হওয়ায় রোহিঙ্গাদের মধ্যে মাংস বিতরণে হিমশিম খেতে হয়েছে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, কোরবানির প্রথমদিনে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে প্রায় ৪ হাজার গরু ও ৫০০ ছাগলের মাংস বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আরো হাজার খানেক পশু জবাই করা হবে। শুক্রবার রোহিঙ্গাদের মাংস, পেয়াজ, চাল, ডাল সহ ১০ হাজার ৭০০টি প্যাকেট বিতরণ করা হবে।

এছাড়া বিভিন্ন সংস্থা আরো পশু নিয়ে আসছে। নানা সমস্যার কারণে তারা এখনো পথে রয়েছে। সব পরিবারকে পর্যায়ক্রমে কোরবানির মাংস সরবরাহ করা হবে।

পাঠকের মতামত: