টেকনাফ প্রতিনিধি ::
ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে টেকনাফস্থ হ্নীলার লেদা রোহিঙ্গা বস্তি নেতাদের যোগ-সাজশে জমজমাট জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগ উঠেছে। এই জুয়ার আসর নিয়ে দু‘পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর পন্ড করে দিয়েছে।
জানা যায়, ১৭ জুন দুপুর ১টারদিকে উপজেলার হ্নীলাস্থ অনিবন্ধিত লেদা রোহিঙ্গা বস্তির সামাজিক বনায়নে ক্যাম্প ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব, সেক্রেটারী মোঃ আলম, ই-বøক মেম্বার আব্দুল হাফেজ ও এ-বøক মেম্বার হোসন জোহারের যোগ-সাজশে বসানো জুয়ার আসর হতে আলীখালীর রশিদ আহমদের পুত্র মোঃ হারুনের নেতৃত্বে ৫/৬জন যুবক এসে বাঁধা প্রদান করে। এতে জুয়ার আসর সংশ্লিষ্ট উত্তর লেদার মৌলভী পাড়ার মোহাম্মদ হোছন মাতুর পুত্র নুর নবীর সাথে তর্ক ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই জেরধরে হারুন গং নুর নবীকে লক্ষ্য করে ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এই ঘটনার পর পরই সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জুয়ার আসরে বাঁধা দেওয়া ও সংঘর্ষের জেরধরে গুলিবর্ষণের খবর পেয়ে নয়াপাড়া ক্যাম্প পুলিশের আইসি জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লেদা রোহিঙ্গা বস্তির জুয়ার আসর গুড়িয়ে দেয়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর আবারো এই জুয়ার আসর বসে।
এদিকে জাদিমোরা, নয়াপাড়া, শালবন, মোচনী, হ্নীলা ষ্টেশনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঈদ উপলক্ষ্যে বিশেষ জুয়ার আসর চোখে পড়ার মতো।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত হারুনের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, নুর নবী আলীখালীতে ৫/৬টি জুয়ার আসর বসিয়ে শিশুদের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অভিভাবকদের মৌখিক অভিযোগের কারণে প্রতিবাদ করলে মারতে আসায় এই ধরনের ঘটনার সুত্রপাত।
লেদা রোহিঙ্গা বস্তির চেয়ারম্যান আব্দুল মতলব জানান, জুয়ার আসরের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। জুয়ার আসর নিয়ে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশকে খবর দিই। এসবের প্রতিবাদ করায় মারতে আসায় আমরা নীরব রয়েছি। পুলিশ গুড়িয়ে দেওয়ার পরও আবারো বসিয়েছে। পুলিশ আবারো গিয়ে তাদের ধাওয়া করে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, ক্যাম্পে এই ধরনের কর্মকান্ড কোন অবস্থাতেই চলতে দেওয়া হবেনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রবিউল হোসেন জানান, ক্যাম্প ডেভেলপমেন্ট কমিটি এই ধরনের কাজ করার এখতিয়ার নেই। এই ঘটনার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
পাঠকের মতামত: