কক্সবাজার প্রতিনিধি :
ভাগ্য কখনো ফিরে না উপকূলের কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দাদের। যেমন ভাল নয় অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা, তেমননি নেই নৌ-পথের যোগাযোগের অন্যতম বাহন জেটি। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু এই অবহেলিত এলাকায় যোগাযোগ সুবিধা কখনো পায়নি উপকূলের লোকজন। অচল জেটি থেকে টোল আদায় করলেও ২০ বছরেও হয়নি জেটি সংস্কার।
উপকূলের কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজনদের নদী পথই যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্যতম নির্ভরযোগ্য পথ হলেও যুগযুগ ধরে হয়নি কোন জেটিঘাটের সংস্কার। অপরিকল্পিতভাবে কয়েকটি জেটি নির্মিত হলেও এখন যাত্রীদের দূর্ভোর অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে এই জেটিগুলো। সংস্কারও হচ্ছে না, ভেঙ্গে ফেলাও হচ্ছে না যার ফলে এই ঝুঁকিপুর্ণ জেটিতে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে মানুষ।
প্রাপ্ত তথ্যমতে মহেশখালীর ধলাঘাটার ১২ হাজার মানুষের জন্য একটিই মাত্র ঘাট। বিগত ২০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল একটি জেটি। ঘাটের ইজরাদার আকতার আহমদ জানিয়েছেন, জেটিটি নির্মাণের শুরু থেকেই মানুষ উঠা-নামা করতে সমস্যায় পড়তে হত। বর্তমানে জোয়ারের সময়ও এই জেটি দিয়ে চলাচল করা অনেকটা দুরহ হয়ে দাড়িয়েছে। কোন রোগী নিতে মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। প্রতিদিন হাটু পরিমাণ কাঁদা ডিঙ্গিয়ে জেটির কাছে আসতে হয়। এ ছাড়া জেটির মাঝখানে ভেঙ্গে পড়েছে।
শাপলাপুর আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ ওসমান সরওয়ার জানান, শাপলাপুরের দুইটি জেটিই এখন অচল হয়ে আছে। নদী এক জায়গায় জেটি আরেক জায়গায়। শাপলাপুরে টেকসই সড়ক নির্মিত হলেও ভৌগলিক কারণে নদী পথেই অধিকাংশ মানুষ চলাফেরা করে। এখন জেটিগুলি মানুষ চলাচলের প্রধান বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। অচল জেটির কারণে নৌকা কিংবা ট্রলারে উঠতে পারে না লোকজন।
কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের খিজির আহমদ জানিয়েছেন, এই এলাকার লোকজনকে যাতায়ত করতে হয় আকবর বলী ঘাট দিয়ে। অনেকেই জেটির অবস্থা দেখলে ভয়ে ট্রলারে উঠতে চায় না। কুল থেকে জেটিতে উঠতে হলে অন্তত ২০০ মিটার নৌকা নিয়ে যেতে হবে। জেটিটি অন্তত ১২ বছর আগে নির্মিত হলেও এপ্রোস সড়ক নির্মিত হয়নি। তাই দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হয়ে দাড়িয়েছে জেটিটি।
চকরিয়ার উজানটিয়া জেটিটি দীর্ঘদিন সচল থাকলেও এখন ভাটা হলেই দূর্ভোগে পড়তে হয় লোকজনকে। ফলে জেটি সম্প্রসারণ না করলে অচিরেই অচল হয়ে পড়বে এই জেটি।
ধলঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হাসান জানান, জেটিটি পরিতক্ত ঘোষণা করে নতুন জেটি নির্মাণের জন্য কক্সবাজার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। এখনো অজ্ঞাত কারণে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি। উপজেলা সমন্বয় সভায় কয়েক দফা উত্থাপন করা হয়েছে। এলজিডিই’র বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোন সুরাহা হয়। একটি জেটির কারণে পুরো ইউনিয়ন এখন অন্ধকার।
প্রকাশ:
২০১৮-০৫-২৯ ০৮:১৬:৩৮
আপডেট:২০১৮-০৫-২৯ ০৮:১৬:৩৮
- ব্যাপক উৎসাহ—উদ্দীপনায় সাংবাদিক সংসদের এক যুগপূর্তি উৎসব সম্পন্ন
- চকরিয়ায় উপকুলের সাগর চ্যানেলের ট্রলার থেকে ৩৮ কোটি টাকা মূল্যের ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
- চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- অবাঞ্চিত ঘোষণা নব-গঠিত মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের
- আজ ২৯ এপ্রিলের ভয়াবহতা এখনও ভুলেনি উপকূলবাসী
- সোহেল,জনি,রাজ্জাক ও দেলোয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত: একটিতে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা…
- চকরিয়া ভরামুহুরীতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা হামলা: নারীসহ আহত ৩, রড সিমেন্ট ইট লুট
- চকরিয়ায় ফিসিং বোট তৈরীর হিড়িক: ব্যবহার হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চোরাই মাদার ট্রী
- চকরিয়ায় বাড়ির ছাদে উঠে আম পাড়তে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
- চকরিয়ায এমপি ইবরাহীমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
- চকরিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস পালিত
- চকরিয়াতে বৃষ্টির জন্য তপ্ত রোদে কাঁদলেন মুসল্লীরা
- কক্সবাজারে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু, শহরজুড়ে উত্তেজনা
- চকরিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষণ ও মাঠ দিবস পালিত
- চকরিয়া ভরামুহুরীতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধা হামলা: নারীসহ আহত ৩, রড সিমেন্ট ইট লুট
- সোহেল,জনি,রাজ্জাক ও দেলোয়ার চেয়ারম্যান নির্বাচিত: একটিতে ফলাফল নিয়ে ধোঁয়াশা…
- অবাঞ্চিত ঘোষণা নব-গঠিত মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের
- চকরিয়ায এমপি ইবরাহীমের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
- চকরিয়ায় ফিসিং বোট তৈরীর হিড়িক: ব্যবহার হচ্ছে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের চোরাই মাদার ট্রী
- চকরিয়ায় বাড়ির ছাদে উঠে আম পাড়তে গিয়ে পা-পিছলে পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু
- চকরিয়া হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
- চকরিয়ায় উপকুলের সাগর চ্যানেলের ট্রলার থেকে ৩৮ কোটি টাকা মূল্যের ১২ লাখ ৫০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার
পাঠকের মতামত: