ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ২৫ শতাংশ লবণে আয়োডিন মেশানো হয়না

ইমাম খাইর, কক্সবাজার :

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ২৫ শতাংশ লবণে আয়োডিন মেশানো হয়না। লবণে সঠিক মাত্রায় আয়োডিন না মেশালে মোবাইলকোর্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মুশতাক হাসান মুঃ ইফতিখার।

তিনি বলেন, লবণে আয়োডিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছেনা। আইন প্রয়োগে কড়াকড়ি করা হবে। যারা লবণে আয়োডিন মেশাতে দুই নাম্বারী করে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে ক্লুজড মনিটরিং করা হবে।

শনিবার (৩১ মার্চ) সকালে কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুল ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায়’ বিসিক চেয়ারম্যান প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।

আইনের যথার্থ প্রয়োগে প্রয়োজনে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

বিসিক চেয়ারম্যান জানান, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলে ৮৪টি লবণমিল রয়েছে। সেখানে ৬৩টি সচল রয়েছে।যাদের ২৫ শতাংশ এসআইপি নেই। সঠিকমাত্রায় আয়োডিন প্রয়োগ করা হয়না। তিনি আরো জানান, আগের অদৃশ্য রোগ এখন দৃশ্যমান হচ্ছে শুধু  আয়োডিনের আভাবে।বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে।

ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন- বিসিকের পরিচালক (উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) ও যুগ্ম-সচিব জীবন কুমার চৌধুরী, মহাব্যবস্থাপক (প্রযুক্তি) ও সিআইডিডি প্রকল্প এর প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী শফিকুল আলম, বিসিক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক মো: সাইফুল ইসলাম, লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের ডিজিএম দিলদার আহমদ চৌধুরী, কক্সবাজার সরকারী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা লুৎফুন্নেছা।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিসিক শিল্প সহায়ক কেন্দ্র (শিসকে) কক্সবাজারের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) সৈয়দ আহমদ।

পাঠকের মতামত: