ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লামায় সরকারী জায়গা অবৈধ দখলের হিড়িক

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা ::  লামা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের রুপসীপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস কাম কোয়ার্টারের সরকারী জায়গা অবৈধভাবে জবরদখলের হিড়িক পড়েছে। ইতিমধ্যে উক্ত কৃষি অফিসের অধিকাংশ জায়গা দখল করে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রুপসীপাড়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিস কাম কোয়ার্টারের নামে ২৯৪নং দরদরী মৌজার হোল্ডিং-১৪, খতিয়ান-১০ এর ২৪৪৭ দাগে আন্দর ৩৩ শতক জায়গা বন্দোবস্তী রয়েছে। রুপসীপাড়া বাজারে অবস্থিত অফিসটি মেরামতের অভাবে দীর্ঘদিন ব্যবহার না হওয়ায় চারপাশের অধিকাংশ জায়গা দোকান-পাট নির্মাণ করে দখল করে নিয়েছে স্থানীয়রা। বুধবার (৩১ জানুয়ারী) নতুন করে স্থানীয় জনৈক মো. আলম, কামাল উদ্দিন, পলাশ সহ অনেকে দোকানঘর তৈরি করে জায়গা দখল করতে গেলে কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এসএএও) রতন কুমার দেব, গোপন চৌধুরী ও অঞ্জুশ্রী দে বাধা প্রদান করে। বাধার মুখে অবৈধ দখলদাররা ঘর নির্মাণ করতে পারেনি।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষি অফিসের জায়গায় ইতিমধ্যে ১৮টি দোকানঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করছে অনেকে। অবৈধ দখলদাররা হল- মুজিবুর রহমান, রফিক মাঝি, রাসেল, ইউনুচ মিয়া, ইউছুপ আলী, সিদ্দিক জমাদদার, আশরাফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন, আবু বক্কর ছিদ্দিক (২টি), মো. আলমগীর, মো. জাহাঙ্গীর, তারিপ, এনাল, আনিচ, কাইয়ুম, মো. আলী ও ইউনিয়ন সেবাকেন্দ্র।

নতুন করে দখল করতে আসা কামাল উদ্দিন বলেন, পূর্বে যারা দোকান নির্মাণ করে দেদারচে ব্যবসা করছে তাদের সাথে কৃষি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সাথে গোপন চুক্তি রয়েছে। যার কারণে তারা নিরবে ব্যবসা করে যাচ্ছে। সবাই যখন দখল করেছে তখন আমরা দখল করলে দোষ কি ?

এবিষয়ে কৃষি অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত এসএএও অঞ্জুশ্রী দে বলেন, আমি উক্ত ব্লকে দায়িত্ব নেয়ার আগেই অধিকাংশ জায়গা বেদখল হয়ে গেছে। আমি আসার পর থেকে কাউকে দখলের সুযোগ দেয়া হয়নি। আজকে কয়েকজন জবরদখল করতে এলে বাধা দেয়া হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, বেদখলকৃত জায়গা পুণরুদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও লামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে কথা হয়েছে। সরকারী জায়গা দখল করে কেউ স্থায়ী হতে পারবেনা। শীঘ্রই অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।

পাঠকের মতামত: