ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

হারবাংয়ের গুণামেজু বৌদ্ধ বিহারের গাছকাটার ঘটনাস্থলে স্থানীয় সাংসদ , জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস

ম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নে বৌদ্ধ বিহারের ছায়া বৃক্ষ কেটে সাবাড় করে দেয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ। গতকাল বুধবার সকালে এমপি ইলিয়াছ উপজেলার হারবাংয়ের গুণামেজু বৌদ্ধ বিহারের গাছকাটার ঘটনাস্থল পরির্দশন করে স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষের সাথে কথা বলেন। ওইসময় এমপি ইলিয়াছ বিহারের গাছ কাটার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াস দেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসমাউল হসনা, হারবাং ইউনিয়ন জাতীয় পাটির সভাপতি মাস্টার অংকেছিং, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ মেম্বার, বৌদ্ধ বিহারের উপদেষ্টা আলূংহ্রী, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছওয়েন্না থের (সুবর্ণা), সাধারণ সম্পাদক উমেছু, অর্থসম্পাদক অংছিং, স্থানীয় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ৪৫টি পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্য ও স্থানীয় এলাকাবাসি।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, হারবাং ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রাখাইন পাড়ার মৃত আপ্রুমং এর ছেলে উসাং সওদাগর, মাস্টার মংয়াইং ও তার ছেলে উবা থোয়াইং, ছেংগ্যাসহ ১৫-২০ একটিদল সোমবার সকালে গুনামেজু বৌদ্ধ বিহারে ঢুকে বড় আকারের সাতটি টেকসল গাছ কেটে সাবাড় করেন। পরে গাছ গুলো তাঁরা গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে বাঁধা দেন বিহারের ভিক্ষুসহ প্রতিবাদী লোকজন। ওইসময় তাদের হামলায় অন্তত চারজন আহত হয়।

গাছ কেটে লুট ও হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার ইউএনও কাছে অভিযোগ করেন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছওয়েন্না থের (সুবর্ণা)। আগেরদিন এই ঘটনায় বৌদ্ধ বিহারের উপদেষ্টা আলূংহ্রী বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি এজাহার জমা দেন। এজাহারে দাবি করা হয়, এ ঘটনায় বৌদ্ধ বিহারের ৭ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, বৌদ্ধ বিহারের পক্ষে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরির্দশন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হারবাং পুলিশ ফাড়ির আইসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। #

পাঠকের মতামত: