ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

কক্সবাজারে শুটকী তৈরির ধুম : চলতি মৌসুমে ৩০০কোটি টাকা রপ্তানির সম্ভাবনা

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল, কক্সবাজার :
কক্সবাজারের শুটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানী হচ্ছে বর্হিবিশ্বে। বিভিন্ন দেশে নিয়মিত রপ্তানি করা হচ্ছে হচ্ছে শুটকি। অনেকেই ডাকবিভাগ, কুরিযার সার্ভিসসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রতিনিয়ত শুঁটকি বিদেশে পাঠাচ্ছেন। বাংলাদেশে উৎপাদিত শুটকির একটি বড় অংশ উৎপাদন হয় কক্সবাজারে।
ভোজন রসিকদের কাছে খুবই মজার ও আকর্ষণীয় এক খাবার শুটকি। দেশের গণ্ডী পেরিয়ে বিদেশেও বিপুলসংখ্যক মানুষের কাছে জনপ্রিয় খাবার শুটকি। আগে দামে সস্তা থাকায় শুটকিকে গরীবের খাবার হিসেবে তাচ্ছিল্য করা হতো। কিন্তু এখন শুটকির দামের বৃদ্ধির পাশাপাশি বদলেছে অবস্থানও। এখন শুটকি দেশের ধনীদের অন্যতম নিয়মিত একটি খাবার মেন্যু। এমনকি দেশের বিভিন্ন নামী-দামি রেস্টুরেন্ট সহ বিলাসবহুল হোটেলেও শুটকির কদর বেড়েছে।
শীতের শুরুতে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে কাঁচা মাছকে রোদে শুকিয়ে ‘শুঁটকি মাছ’ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। আগামী মে পর্যন্ত টানা চলবে শুঁটকির উৎপাদন। এ বছর শুঁটকি বিক্রি করে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান সংশি¬ষ্টরা। শুটকির পাশাপাশি কক্সবাজারে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত শুঁটকি গুঁড়ার উৎপাদন বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ পণ্য সরবরাহ করে প্রচুর অর্থ আয় করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
শহরতলীর নাজিরারটেক, ফদনারডেইল, নুনিয়াছরা, সমিতিপাড়াসহ উপকূলীয় কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার আবাল বৃদ্ধ বনিতা শুঁটকি উৎপাদনে মহা ব্যস্ত। গভীর সাগর থেকে অসংখ্য ট্রলার মাছ আহরণ করে নাজিরারটেক ও ফদনারডেইল ঘাটে ভিড়ছে। এসব ট্রলার আসা বিভিন্ন কাঁচা মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করা হচ্ছে। বাঁকখালী নদীর তীরের বিভিন্ন গ্রামের কয়েক হাজার বসত ঘড়ের ছাদে ও উঠানে মাচা বানিয়ে তৈরি হচ্ছে শুঁটকি।
জেলায় উৎপাদিত বেশির ভাগ শুঁটকিতে কোনো কেমিক্যাল মেশানো হয় না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে সাগর উপকূলে মাচা তৈরি করে এই শুঁটকি তৈরি করা হয়। পুরুষরা মাছ সংগ্রহের কাজে জড়িত থাকলেও প্রক্রিয়াকরণে জড়িত থাকেন অধিকাংশ নারী। সাগর থেকে মাছ আহরণ করে জেলেরা ওই সব মহাল ঘাটে (চরে) নিয়ে আসেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, শহরে ৫০টির অধিক শুটকি মহালে শ্রমিকেরা কেউ বড় বড় শুঁটকি পানিতে ধুয়ে নিচ্ছে, কেউ কেটে রোদে শুকাচ্ছেন।
তারপর বাঁশ দিয়ে বিশেষভাবে তৈরি ঘেরগুলোতে পসরা সাজানো হয়েছে নানারকম মাছের। এখানে ছুরি, লইট্যা, পোহা, ফাইস্যা, লায়োক্কা, মাইট্যা, রূপচান্দা মাছসহ বিভিন্ন ধরনের শুঁটকি উৎপাদিত হয়।
পর্যটকদের চাহিদা পূরণে নানান প্রতিকূলতা এবং সীমাবদ্ধতার মধ্যে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে এখনো পুরোদমে চলছে শুঁটকি উৎপাদন। মহেশখালীর উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত এ স্বর্ণদ্বীপখ্যাত সোনাদিয়া, শহরের নাজিরার টেক বৃহৎ শুটকি মহাল, খুরুশকুল, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, টেকনাফের বাহারছড়া ও প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের শুঁটকিমহাল কেবল বাণিজ্যিক কেন্দ্র নয়, এগুলো এক একটি পর্যটন স্পটও।
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া দ্বীপে শুটকি মাছ উৎপাদনের ধুম পড়েছে। জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ একটি অনন্য সুন্দর দ্বীপ। দ্বীপটির আয়তন ৭ বর্গকিলোমিটার।
কক্সবাজার জেলা সদর থেকে ৯ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে মহেশখালী চ্যানেলের মহেশখালী দ্বীপের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত সোনাদিয়া বঙ্গোপসাগর ঘেষে অবস্থিত সোনাদিয়ার চর এলাকায় হাজার হাজার জেলে ক্ষনস্থায়ী আবাস স্থান তৈরী করে ফিশিং কৃত মাছ শুকিয়ে, শুটকি মহাল তৈরী করে কোটি কোটি টাকার মাছ দেশে বিদেশে রপ্তানী করে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
এখানে ৮০ শতাংশ মানুষ সাগর থেকে আহরিত মাছ রোদে শুকিয়ে শুঁটকি করে সারা দেশে সরবরাহ করেন। বর্তমানে সোনাদিয়ায় ৩০টির বেশি মহালে এখন শুঁটকি তৈরি হচ্ছে।
সোনাদীয়ার স্থানীয় ব্যবসায়ী মনছুর আলম বলেন, দেশের ২০ শতাংশ শুঁটকি এখান থেকে উৎপাদিত হয়। এখানকার শুঁটকি তরতাজা মাছ কেটে করা হয় এবং এতে কোনো ধরনের ক্ষতিকর কীটনাশক কিংবা পাউডার মেশানো হয় না।
শহরতলীর নুনিয়াছরার শুঁটকি ব্যবসায়ী সালামত উল¬াহ (৫৭) জানান, প্রতি সপ্তাহে তিনি নাজিরারটেক ও ফদনারডেইল গ্রাম থেকে গড়ে ১শ’ মন শুঁটকি চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে সরবরাহ দিচ্ছেন। সেখান থেকে ওই শুঁটকি তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবানসহ সারা দেশে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে, কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকা মহেশখালীর সোনাদিয়া, গোরকঘাটা, তাজিয়াকাটা, কুতুবজোম, কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ, খুদিয়ারটেক, আলী আকবর ডেইল, অংজাখালী, পশ্চিম ধুরুং, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ, সেন্টমার্টিন, জালিয়াপাড়া, সদর উপজেলার নাজিবারটেক, খুরুশকুল, সমিতিপাড়া, চৌফলদণ্ডিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় বিপুল পরিমাণ শুটকি তৈরি হয়।
এসব শুটকির মধ্যে সামুদ্রিক রূপচাঁদা, ছুরি, লাক্কা, কোরাল, সুরমা, লইট্যা, চাপিলা, চিংড়ি, বাটা, ট্যাংরা, অলুয়া, পোপা ও সুন্দরী এবং মিঠাপানির মাছের মধ্যে শোল, কাচকি, কুচো চিংড়ি, মলা, গইন্যা, বাইলা, ফাইস্যাসহ প্রয় ৪১ প্রজাতির মাছের শুঁটকি হয়।
বর্তমানে প্রতিকেজি রূপচাঁদা ১২ শ’ থেকে আড়াই হাজার টাকা, মাইট্যা ৭শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, কোরাল ৯শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা, পোপা ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা, চিংড়ি এক হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, লইট্যা ৪শ’ থেকে ৮ শ’ টাকা, ছুরি ৬শ’ থেকে দেড় হাজার টাকা, অন্যান্য মাছ ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুঁটকি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, শহরের নুনিয়াছরা এলাকার ১৬ টিসহ জেলার ৪১টি উৎপাদনকারী শুটাকি মহলে পোপা শুঁটকি রপ্তানি করে গত বছর প্রায় ১৮৬ কোটি টাকা আয় করে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এ বছর শুঁটকি রপ্তানি থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আয়ের আশা করা হচ্ছে।
এসব মহালে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ পোপা শুঁটকি হংকং, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি করা হচ্ছে। বেশির ভাগ পোপা শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে হংকং এবং হংকং-এ পোপা শুটকী তুমুল জনপ্রিয়। সেখানকার অধিবাসীরা পোপা শুঁটকি দিয়ে স্যুপ তৈরি করেন।
শীত মৌসুমের প্রায় চার মাসে কক্সবাজারে অন্তত ১৫ লাখের অধিক পর্যটক ভ্রমণে আসেন। পর্যটকদের কাছে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে শুটকির। এর মধ্যে শতকরা ৭০ জন পর্যটক ফেরার সময় শুঁটকি নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, কক্সবাজারে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরিতে ব্যবহৃত শুঁটকি গুঁড়ার উৎপাদন বাড়ছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় এ পণ্য সরবরাহ করে প্রচুর অর্থ আয় করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্বল্পসুদে ঋণসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়া গেলে এ বাণিজ্য আরো বিকশিত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, ২০০৫ সাল থেকে কক্সবাজারে শুঁটকি গুঁড়া উত্পাদন শুরু হয়। তবে তা প্রসার লাভ করে ২০১০ সালের দিকে। লাভজনক হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এ পণ্য উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েন। বর্তমানে নাজিরারটেক ছাড়াও কুতুবদিয়া, মহেশখালীর কুতুবজোম, কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল, চৌফলদণ্ডীসহ বিভিন্ন শুঁটকিমহালে এ পণ্য উৎপাদন হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভোলা চিংড়ি, কাঁকড়া, কুঁচিয়া, চামিলা, টেকচাঁদা, গরুমাছসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ ও পোকামাকড় দিয়ে শুঁটকি গুঁড়া উত্পাদন করা হয়। প্রতিমণ কাঁচা মাছ কিনতে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। প্রকারভেদে প্রতি কেজি শুঁটকি গুঁড়া বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৬৫ টাকা পর্যন্ত। উৎপাদিত শুঁটকি গুঁড়া ঢাকা, বগুড়া, নরসিংদী, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নারায়ণগঞ্জ, জয়পুরহাটসহ দেশের বিভিন্নস্থানে সরবরাহ করা হয়। পোলট্রি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে এর চাহিদা বেশি। এ ব্যবসা প্রসার লাভ করায় কর্মসংস্থানও বাড়ছে।
লিটন দেবনাথ সৈকত। কক্সবাজার ই-শপ.কমের উদ্যোক্তা। তাঁর সাইটের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ে তিনি সারা দেশের ‘শুটকি’ পৌঁছে দিয়ে অনেকের নজরে এসেছেন। প্রাথমিকভাবে বিশ্বের ১৩টি দেশে কক্সবাজারের শুঁটকি পাঠানোর উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে দেশি-বিদেশি ক্রেতার কাছে শুটকি সরবরাহ করছেন লিটন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগী বেসরকারি সংস্থা নেকমের (নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্ট) কর্মকর্তারা বিষমুক্ত শুঁটকি উৎপাদনের ক্ষেত্রে জেলেদের সচেতন করে আসছেন। কিন্তু এতে বিষ থাকায় বিপুলসংখ্যক লোক ক্যান্সার, যক্ষ্মাসহ কঠিন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই লোকজনকে সুস্থ রাখার জন্য জেলেদের সচেতন করা হচ্ছে। কক্সবাজারে উৎপাদিত বেশির ভাগ শুঁটকিতে কোনো কেমিক্যাল মেশানো হয় না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে সাগর উপকূলে মাচা তৈরি করে এই শুঁটকি তৈরি করা হয়।

কক্সবাজার শুটকি মহালগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন জেলা প্রশাসনে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) একেএম লুৎফুর রহমান।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ক্ষতিকর কীটনাশকযুক্ত শুটকি উৎপাদনের অভিযোগ পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত নাজিরারটেকে অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের শুরুতে একটি মহাল থেকে বেশকিছু কীটনাশক জব্দ করা হয়। সেখান থেকে মো. ইদ্রিস (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তিনি ওই মহালের মালিক। এর পাশে আব্দুল জব্বারের মালিকাধীন মহাল থেকেও কীটনাশক পাওয়া যায়। সেখানে শুটকিতে কীটনাশক মেশানোর কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আবু ছিদ্দিককে (২০) আটক করা হয়। পরে ওই মহালের একটু দূরে অবস্থিত আব্দুল খালেকের মহাল থেকে কীটনাশক মেশানোর সময় শ্রমিক ফয়েজ উদ্দিন (১৯) ও আশরাফ আলীকে (২০) আটক করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) একেএম লুৎফুর রহমান।
এনডিসি একেএম লুৎফুর রহমান বলেন, কিছু অসাধু শুটকি উৎপাদনকারিরা কীটনাশক মিশিয়ে শুটকি উৎপাদন করছে। শুটকিতে প্রয়োগ করা বিভিন্ন কীটনাশক ও বিষ মানব দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।
তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে শুটকি মহালগুলোতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা চলছে। আমরা শুটকি উৎপান সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলছি। তারা যেন শুটকি উৎপাদনে কীটনাশক বা কেমিক্যাল প্রয়োগ না করে। তারা যদি এসব কথা গুরুত্ব না দেয় তবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আমরা কঠোর হতে বাধ্য হবো।

কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল আলীম বলেন, নাজিরারটেক, সোনাদিয়া শুঁটকির পাশাপাশি শুঁটকি উৎপাদনেরও বিশাল সম্ভাবনার জায়গা কক্সবাজার। এ ব্যাপারে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের প্রয়োজনীয় সুবিধা দেয়া হবে।
বাংলাদেশ সল্টেড অ্যান্ড এক্সপোর্টাস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বলেন, সরকার ফ্রোজেন ফুডসহ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানে শতকরা ১০ ভাগ ইনসেনটিভ দিয়ে থাকে। কিন্তু পোপাসহ অন্যান্য শুঁটকি রপ্তানির ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা ওই সুবিধা পাচ্ছেন না। এই সুবিধা পেলে শুঁটকির বিপরীতে বার্ষিক বৈদেশিক উপার্জন ৪০০ কোটি ছাড়িয়ে যেত।

পাঠকের মতামত: