মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান কর্তৃক সচিবের কক্ষ তালাবদ্ধ করার হয়েছে। তালাবদ্ধ এবং লোহার পাটাতন দিয়ে কক্ষ বদ্ধ করার বিষয়ে উভয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য প্রদান করেছেন।
ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ইং ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. হোছনকে বদলী করা হয়েছে। কিন্তু অদ্যাবধি সে বর্তমান কর্মস্থল ছাড়েনি। অপরদিকে সে তার নানান অপকর্ম ঢাকার জন্য অফিসের বিভিন্ন ফাইলপত্র সরাতে থাকে। এমন তথ্য পাওয়ার পরে আমি বিষয়টি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বান্দরবান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামাকে অবহিত করি। তাদের পরামর্শ পূর্বক সচিবের রুমে লোহার পাটাতন দিয়ে কক্ষটি বন্ধ করেদি। তাছাড়া সচিবের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় বান্দরবানে লিখিত অভিযোগ করি ও লামা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি।
এই বিষয়ে ফাইতং ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মো. হোছন বলেন, ফাইতং ইউনিয়নের ২৩টি ইটভাটা (ব্রিকফিল্ড) রয়েছে। চলতি বছরে সেখান থেকে কর আদায় বাবদ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। সেই টাকা থেকে দেড় লাখ টাকা জমা সরকারী হিসাবে জমা দিয়ে বাকী টাকা আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান। এমন অভিযোগ এনে গত ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার পরিষদের মেম্বাররা বান্দরবান প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তারা ইটভাটার ৯ লাখ ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সহ মোট ১১লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ তুলে। চেয়ারম্যান সাহেব মনে করেন এই সবকিছুর অন্তরালে আমি রয়েছি। এমন চিন্তা থেকেই তিনি ক্ষোভে আমার অফিসে তালাবদ্ধ করেছে বলে আমার মনে হয়। আমি আজ শনিবার পরিষদে এসে দেখি আমার কক্ষে তালাবদ্ধ ও লোহার পাটাতন দ্বারা বন্ধ রয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা প্রশাসক বান্দরবান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামাকে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।
লামা থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, সচিবের বিরুদ্ধে ফাইতং ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন লামা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে।
পাঠকের মতামত: