ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের ‘মাদার বোমা’র বিপরীতে রাশিয়ার ‘ফাদার বোমা’


bomaঅনলাইন ডেস্ক :::

আফগানিস্তানে ২১ হাজার ৬০০ পাউন্ডের ম্যাসিভ অর্ডিন্যান্স এয়ার ব্লাস্ট বা ‘মাদার অফ অল বোম্বস’ ৯৪ জন আইএস জঙ্গি হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে রাশিয়া জানিয়েছে, তাদের কাছে রয়েছে আরো বড় বোমা, যার কোড নেইম ‘ফাদার অফ অল বোম্বস’।

মার্কিন বোমাটি যত ধরনের বোমা (পরমাণু বোমা ছাড়া) এ যাবতকাল ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে এটি সবচেয়ে বড়, যা লম্বায় ৩০ ফুট বা ৯ মিটার। বিস্ফোরকে ঠাসা ৯ হাজার ৮০০ কেজি ওজনের এ বোমাটি তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল ইরাক যুদ্ধকে সামনে রেখে, যদিও সে যুদ্ধে এ বোমা ব্যবহারের প্রয়োজন হয়নি। ভয়াবহতার দিক থেকেও এ বোমাটি ভয়ংকর। এক মাইল এলাকার মধ্যে যে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার পর এটি ১৮ হাজার পাউন্ড টিএনটি ক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। অনেকটা কলম আকৃতির বোমাটির সামনের দিকটি ধারালো আর দুটো পাখাও রয়েছে এর শরীরে। আর বাইরের দিকটা অ্যালুমিনিয়ামে মোড়ানো যা বিস্ফোরণের মাত্রাকে ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে। ভূমিতে সবকিছু ধ্বংস করে দিতে সক্ষম এ বোমাটি, এমনটি ভূগর্ভস্থ বাঙ্কার বা টানেলকেও ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে দিতে পারে মূহুর্তের মধ্যেই। একেকটি এ ধরনের বোমা তৈরির জন্য ব্যয় হয় প্রায় ১৬ মিলিয়ন ডলার। এর উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো বিস্ফোরণের ভয়াবহতা এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি করতে সক্ষম। আলবামাভিত্তিক অ্যারোনটিকস কোম্পানি ডায়ানেটিকসর তৈরি করা বোমাটির প্রথম পরীক্ষামূলক বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল ২০০৩ সালে ফ্লোরিডায়। তবে পারমানবিক উপাদান না থাকায় প্রেসিডেন্টের অনুমোদন ছাড়াই এ বোমা ব্যবহার করতে পারে সামরিক কর্তৃপক্ষ।

তবে এটিই কিন্তু সবচেয়ে ভারী বোমা নয়। এই মাদার অফ অল বোম্বস এর বিপরীতে রাশিয়া বানিয়েছে ফাদার অফ অল বোম্বস, প্রযুক্তির ভাষায় যাকে থার্মোবারিক অস্ত্র বলা হচ্ছে যা দু পর্যায়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। মাদার বোমার চেয়ে অন্তত চারগুণ বড় এই ফাদার বোমা যেখানে ফেলা হবে, তার আশেপাশের অন্তত ১ হাজার ফুট এলাকা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। ৪৪ টন টিএনটিতে ঠাসা এই থার্মোবারিক বোমা তৈরি হয়েছিল ২০০৭ সালে। বহুতলে ঠাসা কোনো এলাকায় এই বোমা ফেললে কার্যত ভস্মীভূত হয়ে যাবে সবকিছু। এই বোমার বিশেষত্বই হল আর পাঁচটা সাধারণ বোমার চেয়ে এর গঠনটা আলাদা। বায়ুমণ্ডলের অক্সিজেনের সঙ্গে মিশে বিস্ফোরণের তীব্রতাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয় এই বোমার রাসায়নিক উপাদান।

পাঠকের মতামত: