নিষিদ্ধ ও ক্ষতিকর পণ্য আমদানি সন্দেহে চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ দ্বিতীয় চালানের ছয় কন্টেইনারেও এলইডি টিভি, বিদেশি সিগারেট ও ফটোস্ট্যাট মেশিন পাওয়া গেছে। আজ সোমবার অপর ছয়টি কন্টেইনারে এলইডি টিভি, বিদেশি সিগারেট ও ফটোস্ট্যাট মেশিন পাওয়া যায়। এর আগে রবিবার প্রথম চালানের ছয় কন্টেইনারে এলইডি টিভি, বিদেশি সিগারেট ও মদ পাওয়া যায়। এই দুই চালানের আমদানি মূল্য আনুমানিক ১৩৪ কোটি টাকা বলে জানান শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. তারেক মাহমুদ।
ঢাকার খিলক্ষেত এলাকার হেনান আনহুই অ্যাগ্রো এলসি ও কেরানিগঞ্জের অ্যাগ্রো বিডি লিমিটেড’র নামে চালান দুটি আমদানি করা হয়। এতে মাত্র দুই লাখ টাকার ডিউটি টেক্স পরিশোধ করে প্রতিষ্ঠান দুইাট বিশাল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানান এই শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা। ক্যাপিটাল মেশিনারিজ ঘোষণায় চীন থেকে দুটি চালানে ১২ কন্টেইনার পণ্য আমদানি করেন খোরশেদ আলম। পণ্য খালাসের দায়িত্বে ছিল সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান রাবেয়া এন্ড সন্স। চালান আটকের পর থেকে আমদানিকারক ও সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানের মালিক পলাতক রয়েছেন।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দুই প্রতিষ্ঠানের নামে একজন আমদানিকারক ১২টি কন্টেইনার নিয়ে আসে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনারগুলো আটক করা হয়। এর মধ্যে রবিবার ছয়টি কন্টেইনার খোলা হয়। সেখানে এলইডি টিভি, সিগারেট ও বিদেশি মদ পাওয়া যায়। আজ সোমবার অপর ছয়টি কন্টেইনারে এলইডি টিভি, বিদেশি সিগারেট ও ফটোস্ট্যাট মেশিন পাওয়া যায়।
পাঠকের মতামত: