স্টাফ রিপোর্টার :
চকরিয়ায় মহাসড়ক থেকে পশুর হাট সরিয়ে নিতে বলায় হাইওয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সরকারী কাজে বাঁধা ও পুলিশ আক্রান্তের অভিযোগ এনে দায়ের করা এই মামলায় আসামী করা হয়েছে ১১৫ জনকে। তন্মধ্যে ১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অন্যদের অজ্ঞাত আসামী দেখানো হয়েছে। গত বুধবার রাতেই মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বেশিসংখ্যক অজ্ঞাত আসামী করে এই মামলা দায়েরের ঘটনায় খুটাখালীতে কয়েকটি গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে বলে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। তবে পুলিশ বলছে, যারাই সরকারী কাজে বাঁধা এবং পুলিশের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছে, মূলত তাদেরকেই গ্রেপ্তার করা হবে। এখানে কোন নিরীহ মানুষকে হয়রানি করবে না পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে মহাসড়ক দখল করে কোরবানি উপলক্ষ্যে কোন ধরণের পশুর হাট বসানো যাবে না। কিন্তু খুটাখালী বাজারের কথিত ইজারাদার আবু তাহের সরকারের নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কের খুটাখালী স্টেশনের দুইপাশ দখলে নিয়ে পশুর হাট বসায়। বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ মহাসড়কে বসানো পশুর হাট সরিয়ে নিতে বললে ক্ষুদ্ধ হন কথিত ইজারাদার আবু তাহের। এ সময় তার উস্কানীতেই পুলিশের ওপর হামলা ও পুলিশের ব্যবহৃত গাড়িতে ভাঙচুর করে উচ্ছৃক্সক্ষল লোকজন।
চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামরুল আজম জানান, মালুমঘাট হাইওয়ে ফাঁড়ির
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে থানায় এজাহার দিলে তা মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। মামলা দায়েরের পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের খুটাখালী গ্রামের মৃত আবদু ছোবহানের ছেলে মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন (৪৪) ও একই ইউনিয়নের উত্তর ফুলছড়ি গ্রামের মাষ্টার বশির আহমদের ছেলে আরিফুল ইসলাম জনি (২৫)।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে হাইওয়ে পুলিশের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথমদিনেই মামলার এজাহারনামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারনামীয় অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আপাতত দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামীদেরই গ্রেপ্তার করা হবে। তবে অজ্ঞাত হিসেবে কোন নিরীহ মানুষকে গ্রেপ্তার করা হবে না। এ বিষয়ে পুলিশ খুব সজাগ রয়েছে এবং এনিয়ে এলাকা ছেড়ে যাওয়ারও কোন কারণ নেই কারোরই।’
প্রকাশ:
২০১৬-০৯-০৯ ০৭:১১:৩৩
আপডেট:২০১৬-০৯-০৯ ০৭:১২:২৩
- চোর সিন্ডিকেট ও মাদকের বিরুদ্ধে কোনাখালীতে সচেতন নাগরিকদের মানববন্ধন
- পেকুয়ায় শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের আত্মহত্যা
- পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে খালা-ভাগ্নির মর্মান্তিক মৃত্যু
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের গেজেট প্রকাশ
- মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যুবক নিখোঁজ
- রামুতে ১০ জন প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ আজ: অগ্নিপরীক্ষায় সোহেল সরওয়ার কাজল ও সিরাজু ইসলাম ভূট্টো
- দুবাই পালানোর সময় চকরিয়ার ভিআইপি চোর তৌহিদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
- চকরিয়াকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে নেয়া হচ্ছে ৬২০ কোটি টাকার প্রকল্প
- চকরিয়ায় গোয়ালঘর থেকে ৪ গরু চুরি
- এসএসসির ফলাফল : চট্টগ্রামে ৭৬ হাজার উত্তরপত্র পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন
- রামুতে ভোটার সচেতনতায় পথসভা ও প্রার্থীদের হলফনামা বিতরণ
- চকরিয়াকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে নেয়া হচ্ছে ৬২০ কোটি টাকার প্রকল্প
- দুবাই পালানোর সময় চকরিয়ার ভিআইপি চোর তৌহিদ বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
- রামুতে ১০ জন প্রার্থীর ভোট যুদ্ধ আজ: অগ্নিপরীক্ষায় সোহেল সরওয়ার কাজল ও সিরাজু ইসলাম ভূট্টো
- মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে যুবক নিখোঁজ
- চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানের গেজেট প্রকাশ
- পেকুয়ায় পুকুরে ডুবে খালা-ভাগ্নির মর্মান্তিক মৃত্যু
- চোর সিন্ডিকেট ও মাদকের বিরুদ্ধে কোনাখালীতে সচেতন নাগরিকদের মানববন্ধন
- পেকুয়ায় শ্বশুর বাড়িতে জামাইয়ের আত্মহত্যা
পাঠকের মতামত: