ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে বিনা বাধায় কাঠ পাচার হচ্ছে সড়ক ও নদী পথে

pic-tree-15-6-16
নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি ::
নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড় থেকে বিনা বাধায় কাঠ পাচার হচ্ছে সড়ক ও নদী পথে। গত ২ মাস ধরে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও এ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি দেখার কেউ নেই। এ কারনে নিয়মিত এভাবে কাঠ পাচার হচ্ছে।  গত ক’দিন ধরে ব্যাপক অনুসন্ধানের পর এ তথ্য বেরিয়ে আসে এ প্রতিবেদকের কাছে।
জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ৫ টি ইউনিয়নের মধ্যে ২টি বন রেঞ্জ অফিস রয়েছে।  উপজেলাটি মিয়ানমার সীমান্ত ঘেষা হলেও এর আয়তন ৪৬৩.৬১ বর্গকিলোিিমটার।
১৭ মৌজার এ বিশাল এলাকার অধিকাংশই বনভুমি। আর এ বন এলাকার সাথে সংযোগ সড়ক রয়েছে ১০টি আর নদী পথ রয়েছে  ৫ টি। এ সব পথ দিয়ে বর্তমানে বিনা বাধায় কাঠ পাচার হচ্ছে রাত-দিন।  বাকঁখালী নদীর তীরবর্তী গ্রামের লোকমান নামের বাসিন্দা জানান,বাকখালী নদী যেন চোরাই কাঠ পাচারের  একমাত্র সড়ক। প্রতিদিন এ নদী দিয়ে শতশত ঘনফুট মূল্যবান কাঠ নিচের দিকে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কাঠচোরেরা । বিনা বাধায়  নাইক্ষ্যংছড়ি বাকখালী নদী  আশপাশ এলাকার বনের  এ কাঠ নিচের দিকে নিয়ে যায় তারা। আর তদারককারী কর্তৃপক্ষ সহ সংশ্লিষ্টরা তাদের পাওনা  যথা সময়ে আদায় করতে পারায় এ অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলেও তার ধারনা। নইলে এ অবস্থা কেন !  তার প্রশ্ন ।
বাইশারী বাজার এলাকার বাসিন্দা রফিক আহমদ জানান, বাইশারী, আলিক্ষ্যং ও ইদগড় মৌজার প্রায় পাহাড় থেকে কাঠ কেটে ঈদগড় খাল ও গর্জনিয়া খাল  দিয়ে পানি পথে চট্টগ্রাম-ককসবাজার আরকান সড়কের পাশে নিয়ে আনা হয়।  আর সড়ক পথে  বাইশারী -ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়ক ব্যবহার করে আরকান সড়কের  চোরাই কাঠের ডিপো গুলোতে স্তুুপ করা হয়। আর রেজু এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান,ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজুখাল ও সড়ক দিয়ে  কাঠ পাচার হচ্ছে নিয়মিত। এখানে নেই কোন বাধা। ঘুমধুম,তুমরু ও কতুপালং এলাকা সহ সর্বত্র একই অবস্থা।
সোনাইছড়ির এক জন প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সোনাইছড়ি যেন কাঠ পাচারের স্বর্গরাজ্য।  বলতে গেলে ১৭ মৌজার প্রতিটিতে বনদস্যূরা শতশত কাঠুরিয়া দিয়ে নির্বিগ্নে বনের কাঠ নিয়ে যাচ্ছে  কাঠের ডিপো গুলোতে অনেকটা বাধাহীনভাবে।
স্থানীয়রা জানান- ক’মাস আগেও বন বিভাগের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারী তদারককারী কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সক্রিয় থাকলেও এখন তাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়ছেনা। বিশেষ করে বাকখাঁলী নদী পথে নাইক্ষ্যংছড়ি পাহাড়ের অধিকাংশ চোরাই কাঠ পাচারের সময়  নদীটির নাপিতের চর এলাকায়  নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি’র  একটি ক্যাম্প/পোষ্ট  বিগত দিনে বাধার সৃষ্টি করলেও -এখন সেটিও নেই। আর এ সুবাদে কাঠ চোরেরা আরো বেপরওয়া হয়ে রাত দিন কাঠ পাচারে নেমে গেছে যথারীতি।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি বন রেঞ্জ কমকর্তা শেখ মো: আবদু সবুর জানান, তার জানা মতে কোন অবৈধকাঠ তার এলাকা দিয়ে যায় না।  আর তারা  এ ধরনের চোরাই কাঠ পাচার ঠেকাতে তৎপর আছেন সবসময়।

পাঠকের মতামত: