ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থানরত বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ উন্নত চিকিৎসার জন্য নয়া দিল্লী গেছেন।
তার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকালে তিনি দিল্লীতে পৌঁছে সেখানকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
জানা গেছে, সালাহ উদ্দিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে শিলং সেশন কোর্ট তাকে ভারতের অন্য যে কোনো প্রদেশে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি দেন। ‘অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে শিংলয়ের আদালতে সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা ঝুলছে।
শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহ উদ্দিনের এক আত্মীয় জানান, তার বাম দিকের কিডনির অবস্থা খুব খরাপ। হৃদরোগ ও চর্মরোগের সমস্যাও প্রকট। নিয়মিত তাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে। শিলংয়ের একটি হাসপাতালে কয়েকজন চিকিৎসক তার কিডনি, হৃদরোগ ও চর্মরোগের চিকিৎসা করছেন। তার পা ফুলে গেছে।
গত বছর বিএনপি নেতৃত্বধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে ১০ মার্চ উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। এর প্রায় ২ মাস পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্দেশ্যহীন ঘোরাফেরা অবস্থায় উদ্ধার হন তিনি। অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ‘ফরেনার্স অ্যাক্ট-৪৬’ এ দায়ের করা মামলার পর চার্জশিটও দেওয়া হয়েছে। যদিও পরে শিলংয়ের আদালত থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান তিনি। তবে আদালতের দেওয়া শর্ত ছিল- সালাহ উদ্দিনকে শিলং অবস্থান করে প্রতি সপ্তাহে সেখানকার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হাজিরা দিতে হবে। সেখানকার নামি আইনজীবী এস পি মোহান্ত সালাহ উদ্দিনের মামলার আইনগত দিকগুলো দেখভাল করছেন।
সালাহ উদ্দিন কিভাবে ভারতে গেলেন তার রহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি।
পাঠকের মতামত: