মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা :: বান্দরবানের লামা-চকরিয়া সড়কের ইয়াংছা বদুরঝিরি নামক স্থানে বাস ও জীপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দূর্ঘটনায় বাস ও জীপের যাত্রী-ড্রাইভার সহ ১৮ জনের অধিক লোক আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যেক্ষদর্শীরা। মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) বিকেল ৫টায় এই ঘটনা ঘটে। বাসটি চকরিয়া হতে লামা যাচ্ছিল আর জীপ গাড়িটি কলা ভর্তিকরে লামা হতে চকরিয়া যাচ্ছিল।
আহতরা হল, ফাতেমা বেগম (১৯), মো. রফিকুল ইসলাম (৩০), হিরো চাকমা (৩৫), জীপ ড্রাইভার মনছুর আলম (৩৩), আবুল কামাল (৪২), নুরুল আমিন (৪০), বাস ড্রাইভার বাদশা (৪৭)। অন্যান্য ১১জনের নাম জানা যায়নি। বাসের যাত্রী গুরুতর আহত ২ মহিলাকে দ্রুত অন্য একটি গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানান আহত যাত্রী ফাতেমা বেগম।
গাড়ি দূর্ঘটনার বিষয়টি জানান সাথে সাথে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়, লামা-আলীকদম জোনের ইয়াংছা ক্যাম্পের সেনাবাহিনীর সদস্যরা, লামা থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। দূর্ঘটনায় কবলিত বাস-জীপ গাড়ি ২টি রাস্তার উপরে পড়ে থাকায় কয়েক ঘন্টা যোগাযোগ বন্ধ হয়ে রোগীবাহী এ্যাম্বুলেন্স সহ শতাধিক গাড়ির যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়ে।
বাসের যাত্রী হিরো চাকমা বলেন, বাসটি খুব জোরে চালানো কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দূর্ঘটনায় পতিত হয়। রাস্তার পাশের বড় একটি শিশু গাছের সাথে গাড়িটি না আটকালে প্রচুর হতাহত হত। দূর্ঘটনার সাথে সাথে বাস ও জীপের ড্রাইভার হেলপার পালিয়ে যায়। বাস গাড়ি নাম্বার- চট্টমেট্রো-ব ০৫-০১৮৬। জীপ গাড়ি নং- ঢাকা ল-১৮।
দূর্ঘটনাস্থলে উপস্থিত লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন বলেন, আহতদের চিকিৎসার জন্য লামা ও চকরিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। গাড়ির চাকা ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে আপাতত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আমরা সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় পাশের পাহাড়ের অংশ কেটে বিকল্প রাস্তা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
দূর্ঘটনার বিষয়ে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান থোয়াইনু অং চৌধুরী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর এ জান্নাত রুমি তৎক্ষণাত খবরাখবর নেন এবং আহতদের চিকিৎসায় সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
পাঠকের মতামত: