ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

লামায় লোকালয়ে বুনো হাতি ॥ ১দিনে ২৫টি বাড়ি তছনছ

xxxxমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

বান্দরবানের লামা পৌরসভায় বুনো হাতি লোকালয়ে নেমে এসে ২৫টি ঘর-বাড়ি ভেঙ্গে ফেলে ও ব্যাপক সবজি ক্ষেত, বনজ ও ফলজ বাগান ভাংচুর ও তছনছ করেছে। এতে করে রোজার সংযমের মাসে উক্ত এলাকার প্রায় ২হাজার মানুষ বাড়ি ছেড়ে নিদ্রাহীন জীবন যাপন করছে। গত ১মাসের ধারাবাহিক আক্রমণে ২জন নিহত, ১২জন আহত ও শতাধিক বাড়ি ঘর ভাংচুর করে উক্ত হাতির দলটি।

লামা পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্থরা জানায়, গত মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে ১৪/১৫টি বুনো হাতির দল ধারাবাহিক ভাবে লামা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের চাম্পাতলী, পাহাড়তলী ও টিটিএন্ডডিসি এলাকায় রাতের বেলায় ভাঙ্গনের তান্ডব লীলা চালায়। কয়েক দিন যাবৎ হাতির পালটি দিনের বেলায় পাশের পাহাড়ে অবস্থান করে আর রাতের বেলায় লোকালয়ে নেমে এসে বাড়ি ঘর ও ফসলের মাঠ, বাগান নষ্ট করছে। হাতির অত্যাচারে অতিষ্ট মানুষের পাশে উপজেলা প্রশাসন, লামা পৌরসভা, ফায়ার সার্ভিস ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু উক্ত বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত লামা বন বিভাগের কাউকে পাশে না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্থানীয়রা।

বুনো হাতির ধারাবাহিক আক্রমণ, ভাংচুর, এলাকায় অবস্থান ও মানুষ নিহত-আহতের ঘটনায় বাড়ি-ঘর ছেড়ে অন্য এলাকায় এসে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে অনেকে।

১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, প্রায় ১মাস যাবৎ উক্ত হাতির পালটি লামা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাংচুর চালায়। সরই, গজালিয়া, বমু বিলছড়ি ইউনিয়ন ও সর্বশেষ লামা পৌরসভায় একের পর এক আক্রমণে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি করছে হাতির দলটি। নিরাপত্তা কামনা করে প্রশাসনের সহায়তা চেয়েছে এলাকাবাসি।

লামা পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে রাতে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিস নিয়ে জনগনের পাশে দাড়িঁয়েছি। বন বিভাগের সহায়তার কোন কার্যক্রম চোখে পড়েনি।

দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে লামা বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এই বিষয়ে আমরা বন্য প্রাণী সংরক্ষণের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। তারা কৌশলে হাতি গুলোকে তাদের চলাচলের পথে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছে। হাতির নিরাপদ বিচরণ ক্ষেত্র না থাকায় তারা লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: