ডিএমপি সদর দফতরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় সভা। ছবি: ডিএমপি নিউজ
চকরিয়া নিউজ ডেস্ক :: মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে সব ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস নিষিদ্ধ থাকবে। ভর্তি পরীক্ষায় নকল ঠেকাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সব পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দফতরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণকারী সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভা করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আগামী ১১ অক্টোবর সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত সারা দেশে একযোগে ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
সভা সূত্র জানায়, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোতায়েন থাকবে পর্যাপ্ত পুলিশ। প্রতিটি কেন্দ্রে থাকবে মোবাইল কোর্ট। পরীক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া অন্য কোনো কাগজ সঙ্গে নিতে পারবে না। কলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বচ্ছ সাধারণ মানের কলম নিতে হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশের সময় সব পরীক্ষার্থীর দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে। মেয়েদের তল্লাশির ক্ষেত্রে থাকবে আলাদা ব্যবস্থা। কেন্দ্র ইনচার্জ ছাড়া কেউ মোবাইল ফোন কাছে রাখতে পারবে না। কেন্দ্র ইনচার্জকে দেয়া হবে অ্যানালগ মোবাইল ফোন।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, তল্লাশি কাজে পুলিশের পাশাপাশি থাকবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রতিনিধিগণ। ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সব ধরনের গুজব ছড়ানো রুখতে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন অ্যাপসভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম মনিটরিং করবে ডিএমপির সাইবার সিকিউরিটি বিভাগ।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, একটি ভালো মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করতে আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত আছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ লাখ পরীক্ষার্থীর একদিনে পরীক্ষা নেয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। এই মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের সিনিয়র অফিসাররা মাঠে থেকে তত্ত্বাবধান করে। আশা করি, একটি চমৎকার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যারা যোগ্য তারাই এই পরীক্ষার মাধ্যমে মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য, ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় ঢাকা মহানগরে ৫টি মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষায় ১১টি কেন্দ্রে অংশগ্রহণ করবে ৩৫ হাজার ৯৮৫ জন শিক্ষার্থী।
সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এবিএম মাকসুদুল আলম, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ খান আবুল কালাম আজাদ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. বিল্লাল আলম, মুগদা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহ গোলাম নবী, ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. হুমায়ুন কবীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী, অধ্যাপক ডা. এ কে এম আহসান হাবিব পরিচালক চিকিৎসা শিক্ষা স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ মেডিকেল কলেজ ও ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রের প্রতিনিধি, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিগণ।
পাঠকের মতামত: