ঢাকা,বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বিমান বাহিনীর বেকারিতে ইমাম শেখ

অনলাইন ডেস্ক ::7174be5c7fadb196b89cfeda326cc663-588dab44b5ceb

ইমাম শেখগোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিজের ভ্যানে বহনকারী ইমাম শেখ (১৭) বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বেকারিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরিতে নিযুক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিমানবাহিনীর যশোর ঘাঁটির ফ্যালকন বেকারিতে ‘সরবরাহকারী’ হিসেবে যোগ দিয়েছে সে। এখানে ইমাম শেখ মাসিক বেতন পাবে ৭ হাজার ৯৮৪ টাকা।

ইমাম শেখ টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের সরদাপাড়া গ্রামের আব্দুল লতিফ শেখের ছেলে। চাকরিতে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলা ট্রিবিউনকে সে জানিয়েছে, মঙ্গলবার অস্থায়ী নিয়োগ পাওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে সে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর বেকারিতে যোগদান করে। বোকারিতে তৈরি সামগ্রী বিমান বাহিনীর নিজস্ব দোকানগুলোয় সরবরাহ করবে সে। আপতত অস্থায়ী ভিত্তিতে তার চাকরি হয়েছে। পরে চাকরি স্থায়ী হবে বলে সে জানিয়েছে।

বিমানবাহিনীর যশোর ঘাঁটির ফ্যালকন বেকারি ইনচার্জ ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল হাই বলেন, ‘বেকারিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে ‘সরবরাহকারী’ হিসেবে চাকরি হয়েছে ইমামের। সে আর বৃহস্পতিবার চাকরিতে যোগদান করেছে। আমাদের বেকারিতে উৎপাদিত পণ্য আমাদের ঘাঁটি ও শাহিন কলেজের ২৫/৩০টি দোকানে সে সরবরাহ করবে। চাকরির সার্কুলার ছাড়া বিমান বাহিনীতে স্থায়ী চাকরি হয় না। সার্কুলার হলে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষ তার চাকরি স্থায়ী করবে বলে শুনেছি।’

ইমাম শেখ জানায়, ‘গত ২৭ জানুয়ারি টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী তার নাতি নাতনি ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আমার ভ্যানে চড়েন। এ সময় সংকচে তার কাছে চাকরি চাইতে পারিনি। কিন্তু আমার প্রত্যাশা ছিল একটি চাকরি পাওয়ার। মিডিয়ায় এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ২৯ জানুয়ারি বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাকে টুঙ্গিপাড়া থেকে যশোর নিয়ে আসেন। ৩১ জানুয়ারি বিমান বাহিনীর বেকারিতে অস্থায়ী ভিত্তিতে আমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার বেকারিতে যোগদান করে কাজ শুরু করেছি। স্বল্প বেতনের চাকরি পেয়েও আমি খুবই আনন্দিত ও খুশি হয়েছি। মা-বাবাকে মোবাইলে এ খবর দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তারা ফোন ধরছে না। চাকরি দেয়ার জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে যে সব গণমাধ্যমে আমার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তাদেরও ধন্যবাদ জানাই।’

পাঠকের মতামত: