ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

‘ফাঁসি কার্যকরে প্রস্তুত কারা কর্তৃপক্ষ’

nijami20160402154535-300x156নিজস্ব প্রতিবেদক ::

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত না হলেও যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি কারা কর্তৃপক্ষের রয়েছে।’
জামায়াত আমিরের রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় সোমবার প্রকাশের পর এখন বিধি অনুযায়ীই দণ্ড কার্যকরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জামায়াত আমিরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করতে বহির্বিশ্ব থেকে কোনো ধরনের চাপ বা হুমকি রয়েছে কি না-জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, “কোনো ধরনের হুমকি বাংলাদেশে নেই।”
“বাংলাদেশে হাল ধরেছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কাজেই কোনো ধরনের থ্রেট-ট্রেট নাই আমাদের বাংলাদেশে। আমরা সঠিকভাবে চলছি।”
এদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এখন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার সুযোগই কেবল রয়েছে নিজামীর। প্রাণভিক্ষা না চাইলে যে কোনো সময় ফাঁসি কার্যকর হবে।

গত বৃহস্পতিবার নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজের পর রোববার রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হয় তাকে। এই কারাগারেই অন্য যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল।
সোমবার বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে দণ্ড কার্যকর নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাশিমপুর থেকে ঢাকায় আনার মানে এই নয় যে, এখনই ফাঁসির দণ্ড কার্যকর হবে।

“যে ফরমালিটিজ আছে। তার (নিজামীর) দণ্ডাদেশ আসতে হবে আমাদের কাছে, পূর্ণাঙ্গ রায় আসতে হবে। পূর্ণাঙ্গ রায় আসার পর আমাদের আরো অনেক নিয়ম-কানুন আছে। সেগুলো পালন করেই রায় কার্যকর করা হবে।”
মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের প্রস্তুতি আছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “সব ঠিক আছে।”

এদিকে সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা বলার আগেই রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ে বিচারপতিরা সই করেন। তার অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যায় সেই রায় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পরে তা আইন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।
পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, এর মধ্য দিয়ে নিজামীর বিচারের আইনি প্রক্রিয়া শেষ হল।

তিনি আরো বলেন, “জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জানাবেন তিনি যদি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চান, তাহলে তিনি তা করতে পারেন। যদি তিনি প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এ ক্ষেত্রে পরবর্তী কার্যক্রম চলবে। অর্থাৎ এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নেবে।”

প্রাণ ভিক্ষা চাওয়ার সময়সীমা প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, “তাকে জানানো হবে এবং জানানোর পরিপ্রেক্ষিতে একটি যুক্তিসঙ্গত সময় হয়ত তাকে দেয়া হবে। একদিনের সময় দেয়া হতে পারে, পিটিশান (মার্সি পিটিশান) লেখার জন্য বা এটাকে প্রস্তুত করার জন্য যতটুকু সময় দরকার।”
নিজামী যদি প্রাণভিক্ষা না চাওয়ার কথা সোমবারই জানিয়ে দেন, তাহলে কতদিন সময় লাগতে পারে- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কারা কর্তৃপক্ষের বিষয়।”
এদিকে নিজামী প্রাণ ভিক্ষা চাইবেন না বলে জামায়াতে ইসলামির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে।
তা জানানো হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তা না হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটানো হবে না।”

পাঠকের মতামত: