বান্দরবান প্রতিনিধি ::
বান্দরবানে পাহাড়ি ঝিরি ঝর্ণা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনের দায়ে থানছি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে পাথর তোলার কাজে জড়িত থাকার দায়ে ৭ শ্রমিককে আটক করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বান্দরবানের থানছি উপজেলার থানছি আলীকদম সড়কের ২৮ কিলো এলাকায়। ঐ এলাকার সেগুন ঝিরির তুইক্ষ্যং পাড়া, মেংরুয়া পাড়া ও হইতং পাড়ার পাহাড়ি ঝিরি থেকে অভিযুক্তরা এক প্রায় দেড় মাসের বেশি সময় ধরে শ্রমিক দিয়ে অবৈধ ভাবে পাথর উত্তোলন করে যাচ্ছিল।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গির আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ঐ এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে উপজেলার চেয়ারম্যান ক্যহ্লা চিং মারমা উপস্থিত ছিলেন। পরে অবশ্য ৭ শ্রমিককে মুছলেখা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে কর্মকর্তরা জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই মারমা ও সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য উবামং মারমাসহ একটি চক্র বেশ কিছু দিন থেকে দুর্গম পাহাড়ি ঝিড়ি ঝর্ণা থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছিলেন। তাদের বার বার বারণ করা সত্ত্বেও তারা পাথর উত্তোলন বন্ধ করছিলেন না। শনিবার খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে অভিযান চালিয়ে ৭ শ্রমিককে আটক করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে ২৫ হাজার টাকা করে মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে অবশ্য আটক শ্রমিকদের আর কখনো এ কাজে জড়িত হবে না মর্মে মুচলেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয় বলে জানান ইউএনও।
পাথর উত্তোলনের কাজে অভিযুক্ত ভাইস চেয়ারম্যান চসাথোয়াই জনসংহতি সমিতির উপজেলা শাখার সভাপতি ও উবামং মারমা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, আলীকদম ও থানছিতে সড়ক নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা–ে পাহাড়ি ঝিরি ঝর্ণার পাথর যথেচ্ছ ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এর ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়ছে পাহাড়ি ঝিরিগুলো। পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। স্থানীয়রা বার বার অভিযোগ দিয়ে আসলেও অভিযুক্তরা পাথর উত্তোলন বন্ধ করছেন না বলে জানান এলাকার লোকজন।
পাঠকের মতামত: