ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে বিএনপি’র দু’গ্রুপে সংঘর্ষ আহত শতাধিক, সম্মেলন পণ্ড

46968_nkhaঅনলাইন ডেস্ক :::

নোয়াখালীতে জেলা বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প- হয়ে গেছে সম্মেলন। শুক্রবার নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ’র বক্তব্য শেষে সভাপতি প্রার্থী মাহবুব আলমগীর আলো ও হারুনুর রশিদ আজাদ গ্রুপের মধ্যে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক কর্মী আহত হয়।  চলাকালে শতাধিক ককটেল, বোমা বিস্ফোরিত হয়। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল, লাঠিসোটা ও দেশী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহৃত হয়। দ্বিতীয় অধিবেশনে ১০২ ভোটের মধ্যে বেগমগঞ্জের সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুতে ১০১ জন ভোটারের মধ্যে বিএনপি নেতাদের না করে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুস্তম আলীকে কাউন্সিলর করায় গ-গোলের সূত্রপাত ঘটে। মারমুখী ঘটনায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যরিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও চেয়ারপারর্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন ফারুক ও সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলু’র পক্ষে তার সহধর্মিণী মিসেস শামীমা বরকত লাকী প্রাণ বাঁচাতে জজ কোর্টের আইনজীবি সমিতির মিলনায়তনে আশ্রয় নেয়। জেলা শিল্প কলা একাডেমীতে নেতা-কর্মীদের হাতে আটকা পড়া সাবেক আইন মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অধিবেশন স্থগিত করেন। পরে আরেকদিন তারিখ দেওয়া হবে বলে কর্মীদের শান্ত করেন। ৮ বছর পর এ সম্মেলনে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসলেও সংঘর্ষের কারণে সব পন্ড হয়ে যায়। সরকার আইয়ুব খান প্রীতিতে পড়েছে। আইয়ুব খানের প্রবর্তিত লুইকান নকশা এনে আইয়ুব নগর প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুক্রবার নোয়াখালী জেলা বিএনপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ এ কথা বলেন। জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আরো বলেন, দেশের এক ক্লান্তিকালে ১৯৭১ সালে জিয়াউর রহমান তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। আবার ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর জেনারেল জিয়াউর রহমান দেশের হাল ধরেন। আওয়ামী লীগ নেতারা শুধু মিথ্যাচার করে বেড়ায়। তারা বলেন, জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন জারি করেছে, সংবিধান স্থগিত করেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রচার। সামরিক শাসন জারি করেছিল আওয়ামীলীগেরই নেতা খন্দকার মোস্তাক আহম্মদ, তিনিই সংবিধান স্থগিত করেছেন। জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাস সত্যিই থাকবে, মিথ্যা হবে না। ২৪ বছর আন্দোলন করে আইয়ুব সরকারের পতন ঘটানো হয়। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন দেশে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারী আওয়ামীলীগ দেশে একদলীয় শাসন কায়েম করে। বর্তমান সরকার প্রতিত আইয়ুব খানের প্রদ্ধতিতে দেশে মৌলিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আওয়ামী লীগ সরকার নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে তাদের জনপ্রিয়তা হিসাবে দেখতে চায়। তাহলে এই মুহত্বে দেশে নির্বাচন দিয়ে নিজেদের সত্যিকারের জনপ্রিয়তা যাচাই করার দাবি জানান বিএনপির এ সিনিয়র নেতা। সরকার বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সহ সিনিয়র নেতাদের মামলা দিয়ে বিএনপিকে শেষ করতে চায়। এটা কোন দিনই সম্ভব নয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি যুগ্ম মহা সচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশিদ, জালাল উদ্দিন মজুমদার ও শামীমা বরকত লাকী। সম্মেলনে শেষ পর্যায়ে জেলা বিএনপির সভাপতি পদে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় কাউন্সিলে নেতা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়।

পাঠকের মতামত: