ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন সুচি

Aung-San-Suu-Kyi20160206142115অনলাইন ডেস্ক :::
দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মিয়ানমার গণতন্ত্রের মানসকন্যা, শান্তিতে নোবেল জয়ী ও ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলের নেত্রী অং সান সুচি। মিয়ানমারের দীর্ঘকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী সুচি দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি বলে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। বৃহস্পতিবার সামাজিক গণমাধ্যমে ক্ষমাসংক্রান্ত্র একটি চিঠি পোস্ট করেছেন সুচি। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।

এ চিঠিতে সুচি মিয়ানমারের জনগণকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করছি। সুচিকেই মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চেয়েছিল দেশটির জনগণ। এজন্যই মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয় লাভ করে তার দল এনএলডি। সুচি আরও বলেন, এনএলডির প্রতি সমর্থন অটুট রাখুন। শান্তিপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনে ধৈর্য ধরুন। দেশের প্রেসিডেন্ট হতে না পারায় জনগণের মন ভেঙেছে সত্যি। তবে যাকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তার মাধ্যমেই দেশের কল্যাণ নিশ্চিত হবে বলে উল্লেখ করেন সুচি। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার আজ গণতন্ত্রের মুখ দেখেছে, এতেই সন্তুষ্ট থাকুন। দেশবাসীর কাছে সুচির এমন চিঠির মূল দাবি হিসেবে জনগণকে ধৈর্য ধরতে বললেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এছাড়া এর মাধ্যমে তিনি পরবর্তীতে যে কোনো সময়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন তারই ইঙ্গিত দিলেন বলেও মনে করেন তারা।

দীর্ঘ পাঁচ দশকের বেশি সময় পর গত বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে বিপুল জয় পায় এনএলডি। সেনাবাহিনীর তৈরি দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, কারও সন্তান বা স্বামী বিদেশী নাগরিক হলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সুচির স্বামী ও দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সংবিধান সংশোধনের প্রশ্নে এনএলডি নেত্রী সুচি সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন। তৃতীয় দফার এ আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। ফলে ১৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত থাকলেও এক সপ্তাহ এগিয়ে এনে বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা ঘোষণা করা হয়।

সুচির বন্ধুকেই সমর্থন দিলেন এমপিরা : অং সান সুচির ঘনিষ্ঠ সহযোগী উ টিন কিয়াওকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়েছেন নিুকক্ষের এমপিরা। শুক্রবার এক ভোটাভুটির মাধ্যমে নিরঙ্কুশ সমর্থন পান কিয়াও। ফলে গত কয়েক প্রজন্মের মধ্যে প্রথমবারের মতো বেসামরিক নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধা দূর হল। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী সুচির ‘প্রক্সি’ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বিশিষ্ট লেখক টিন কিয়াওকে তার সবচেয়ে বেশি পছন্দ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে দেশের নেতা হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়োগ দেয়ার আগে তাকে যৌথ কক্ষের ভোটে পাস করতে হবে।

টিন কিয়াওয়ের পক্ষে দলের সদস্যদের ভোট টানতে নিম্নকক্ষের নির্বাচনে প্রথমে ভোট দেন সুচি। নিম্নকক্ষের ৩১৭টি ভোটের মধ্যে তিনি ২৭৪ ভোট পান। নিম্নকক্ষে সুচির এনএলডি দলের ২৫৫ সদস্য রয়েছেন। তার বিপক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৪৩টি ভোট। টিন কিয়াওকে প্রেসিডেন্ট হতে হলে আরও দুই প্রার্থীর সঙ্গে লড়তে হবে। এদের মধ্যে একজন হলেন উচ্চকক্ষে এনএলডি দলের মনোনীত জাতিগত চিন এমপি হেনরি ভ্যান দেউ ও অপরজন সেনাবাহিনীর মনোনীত হবেন।

পাঠকের মতামত: