টেকনাফ প্রতিনিধি :: টেকনাফ হ্নীলা যুবলীগ নেতা ওমর হত্যার প্রতিবাদে সড়কে নেমে এসেছে হাজারো স্থানীয় জনতা। তারা শুক্রবার সকাল থেকে টেকনাফ কক্সবাজার সড়কের জাদিমুরা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
এসময় তারা হত্যাকারী রোহিঙ্গা স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবী জানাতে থাকে। খবর পেয়ে টেকনাফের ইউএনও মো. রবিউল হাসান, সহকারী কমিশনার আবুল মনসুর, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রদীপ কুমার দাশ সহ র্যাব-পুলিশ ও অন্যান্য আইন শৃংখলা বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জনতাকে শান্ত করা যায়নি। প্রসঙ্গত, টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক (২৪) কে গুলি করে হত্যা করেছে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুরা এলাকায় একদল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ওমরকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তিনি একই এলাকার আব্দুল মুনাফ সওদাগরের ছেলে। নিহত ওমর ফারুক হ্নীলা ইউনিয়ন যুবলীগ ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি ও জাদিমুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ছিলেন।
নিহতের পিতা জানান, কোন কারণ ছাড়াই রোহিঙ্গা ডাকাত নুর মোহাম্মদ ও সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী তার ছেলেকে খুন করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসময় ওমর বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুল সংলগ্ন জাদিমুরা বাজারে একটি দোকানে কেনাকাটা করছিলেন। অতর্কিত অবস্থায় অস্ত্রধারীরা সেখানে গিয়ে তাকে টেনেহিচড়ে অন্ধকার স্থানে নিয়ে গুলি করে সটকে পড়ে। এই ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যান। টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেছে।এদিকে তাৎক্ষনিক ওমর হত্যার ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামবাসীরা জানান, ঘটনায় শতাধিক অস্ত্রধারী রোহিঙ্গা অংশগ্রহন করে। তারা হত্যাকান্ড শেষে দলবেঁধে শালবাগার পাহাড়ের দিকে চলে যায়।
পাঠকের মতামত: