ঢাকা,রোববার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪

জোর করে ক্ষমতায় থেকে সরকার লুটপাট করছে : খালেদা জিয়া

13118989_948222791912536_4304317951860390551_n_1নিউজ ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ২৫ শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এই অভিযোগে জয়কে ভেতরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রবিবার বিকেলে মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমাবেশে এ দাবি জানান বিএনপি প্রধান। ‘গুম-খুন, হয়রানী নির্যাতন বন্ধের’ দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন শুধু স্লোগান দিলে চলবে না। দেশে কোথায় কি হচ্ছে না হচ্ছে তার খোঁজ খবর রাখতে হবে। এ সময় তিনি সমাবেশস্থলে একটি ব্যানার দেখিয়ে বলেন, আমি সামনে একটি ব্যানার দেখতে পাচ্ছি ‘সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তি চাই’। শফিক রেহমান সাংবাদিক তিনি রাজনীতি করতেন না। মাঝেমাঝে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, কথা বলতেন। এই লোকটাকে হঠাৎ করে সকালবেলা তার বাসা থেকে ধরে নেওয়া হল সাংবাদিক পরিচয়ে। তারা ডিবি বা পুলিশ পরিচয় দিতেও ভয় পায়। তাকে রিমান্ডে নেওয়া হল। কেন তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে জানেন? শফিক রেহমানের দোষটা কি ছিল? দোষী ছিল আজকে যে স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী তার ছেলে জয়-এর দুর্নীতির ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করা। এ সময় নেতাকর্মীরা চোর চোর বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তখন খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা এ কথা বলার অধিকার রাখেন। কারণ এর আগে আমাদের দলের নেতা বলেছে- বাংলাদেশ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার তারা (আওয়ামী লীগ) চুরি করে নিয়ে গেছে। ২৫ হাজার কোটি টাকা জনগণের টাকা। এই টাকা নিয়ে তিনি বিদেশে আয়েশ করছেন। শফিক রেহমান সাংবাদিক হিসেবে এই কাগজপত্রগুলো সংগ্রহ করেছেন। এটা সাংবাদিকের কাজ। তিনি কিন্তু কোথাও প্রচার ও প্রকাশ করেন নি। যদি শফিক রেহমানেক ধরা না হতো তাহলে আপনারা এই কথা জানতে পারতেন না। কেন তিনি কাগজ জোগার করলেন তার জন্য তাতে ধরে নিয়ে যাওয়া হল। তিনি বলেন, সরকার মনে করে, ওই কাজগপত্রগুলো নিয়ে গেলেই বুঝি শেষ। এই কাগজ শুধু বাংলাদেশের মধ্যেই নয়, আমেরিকাতে তো আছে। আরও বহু দেশে আছে। এটা আরা চাপা দেওয়া যাবে না। এফবিআই (আমেরিকান গোয়েন্দা সাংস্থা) তদন্ত করেই এগুলো পেয়েছে। এখন জড়ানো হয়েছে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানকে। তারা মিলে নাকি জয়কে গুম, হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা এই ধরনের লোক নয়। খুন করার মতো কথা কোনো দিন বলে নাই।
তিনি বলেন, আমেরিকার কোর্টে তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় খুন করা, গুম করার কাগজপত্র নিয়ে গিয়েছিল। তারা বলেছে, এগুলো ভুয়া। এটা তারা সঙ্গে সঙ্গে বাতিল করে দিয়েছে। শফিক রেহমানের কাছে যেগুলো তথ্য ছিল তিনি তা দিয়েছেন- সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান কিছু করেন নি। বিএনপি নেত্রী কারাগারে আটক সাংবাকিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমান, শওকত মাহমুদ ও মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তির দাবি জানান।
১১/১ এর সময় নিজের পারিবারিক পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে খালেদা জিয়া বলেন, সেই সময় আমাকে বিদেশ যেতে বলা হয়েছিল। আমি যাই নি বলে আমার ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে, মামলা দেয়া হয়েছে। আমি বলেছি, দেশের বাইরে যাব না। আমার ছেলেরাও দেশের বাইরে যাবে না। আমাদের দেশের বাইরে কোনো ঠিকানা নেই। বিএনপিরও দেশের বাইরে কোনো ঠিকানা নেই। খালেদা জিয়া বলেন, বিদেশে যাইনি বলে আমার মাকে হারিয়েছি। তখন আমি কারাগারে। আমার ছেলেদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। মা ৭-৮ দিন এখানে-সেখানে ঘুরেছেন। এরপর তিনি ইন্তেকাল করেছেন।’
আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি বলেন, আজকে আমার পরিবার নিঃশেষ হয়েছে। আজকে আমার মা নেই, বাবা নেই, বোন নেই, ভাই নেই, ছেলে নেই। আজ আমার একমাত্র ভরসা আপনারা। আপনারাই আমার ছেলে, আমরা বোন, আমার ভাই, বাংলার প্রতিটি মানুষ আমার। আপনারা আমরা সন্তান। আপনারাই আমার ভরসা। এ সময় নেতাকর্মীরা দীর্ঘ কয়েক মিনিট ধরে ‘জিয়া-খালেদা’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন। পরে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমার একমাত্র ছেলে তারেক (বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান) সেও বিদেশে (লন্ডন) অবস্থান করে আপনাদের খবরাখবর রাখে। তিনি বলেন, আমি যখন চিকিৎসার জন্য লন্ডন গিয়েছিলাম তখন আমার নাতনিরা কয়েকটা দিনে বেশি রেখে দিয়েছিল। কিন্তু সুযোগ সন্ধানী এই সরকার প্রচারণা চালায় যে, আমি আর ফিরব না। আমি ফিরে আসবো। আমি ফিরে এসেছি। আমি বলতে চাই- আমার সব কিছুই আপনারা। আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন না? আপনারা আমার ভাই-বোন ছেলে-মেয়ে সব কিছু। আপনারা আমাকে সাহায্য করবেন না? আমার হাতকে শক্তিশালী করবেন না? অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে রুখে দাঁড়াবেন না? গুম, খুন হত্যার প্রতিবাদ করবেন না? এসময় নেতাকর্মীরা মুহুর্মুহু স্লোগানে তাকে সমর্থন জানান।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার ৭ বছর লুট করেছে। কিন্ত তিনি (শেখ হাসিনা) সুফি সেজেছেন। মামলাগুলো করেছে আমাদের নামে। আমাকে যদি কারাগারে নিয়ে যায় তাহলে কোনো অসুবিধা নেই। আমি কারাগারের ভয় করি না। আমরা ভাই-বন্ধু আপনারা আমার পাশে থাকবেন না? আমি সব সময় আপনাদের পাশে থাকবো। আজ অধিকার আদায়ের দিবস। আমরা এই দিবসের তাৎপর্কে বৃথা যেতে দিতে পারি না। সত্যের জয় হবেই, ন্যায় প্রতিষ্ঠিত হবেই, গণতন্ত্র ফিরে আসবেই। আমরা অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে যাবই, প্রতিবাদ করবই। এ সময় দেশবাসীকে এক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
রানা প্লাজার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের লোক সরকারী জায়গা দখল করে ভবন বানিয়েছিল। সেই ভবন ধসে কয়েক হাজার গামেন্ট শ্রমিক মৃত্যুবরণ করে। সরকার খুনিদের বিচার করে নি। নিহত আহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেয় নি। অথচ এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য দেশ বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে সাহায্য এসেছিল। সেগুলো আওয়ামী লীগের লোকজনের পকেটে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের জন্য কোনো কাজ করছে না। শ্রমিকদের জন্য কোনো কাজ করছে না। আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়, এরা জবরদখলকারী সরকার। জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। ক্ষমতায় বসে থেকে নতুন আইন করছে। সংবিধানে প্রতিনিয়তই নতুন নতুন পরির্বতন আসছে। মানুষকে তারা মানুষ মনে করে না। বাংলাদেশকে তারা মনে করে তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। আওয়ামী লীগের লোকজন সারাদেশে কেবল দখল করে কেবল অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে।
স্থানীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করলে কেমন হয় তা আপনারা ইতোমধ্যে দেখতে পেয়েছেন। মিডিয়ার মাধ্যমে দেশবাসী তা দেখতে পেয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আগে যেটা মানুষ চিন্তাও করতো না। একইভাবে পৌরসভা, উপজেলা, সিটি নির্বাচন সবকিছুতে এখন জবরদখল করে মানুষকে কেন্দ্রে যেতে না দিয়ে নিজেরা সিল মারে। নিজেরা বক্সভর্তি করে ঘোষণা দেয়। এই কাজে সহযোগিতা করে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন। তাদের কাছে প্রতিদিন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেন নি। এই কমিশনকে দিয়ে কোনো দিন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। হাসিনাও যে রকম, নির্বাচন কমিশনও সেই রকম। এদের দিয়ে কোনো দিনও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। তিনি বলেন, হাসিনা বলে আমরা নাকি ক্ষমতায় আসতে না পেরে গুপ্তহত্যা করছি। আরে ক্ষমতায় আসার সুযোগটা কোথায়? আমরা নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো পথে ক্ষমতায় যেতে চাই না। আপনারা আসছেন চোরাপথে। তাই বলছি আপনি ক্ষমতা থেকে সরে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। দেখুন বিএনপি আছে কী না। জনগণ কাদের পক্ষে আছে।
উপস্থিত তরুণ এবং শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া প্রশ্ন রেখে বলেন, আপনাদের ভবিষ্যত কী, বাংলাদেশে ভবিষ্যত কী? কথায় কথায় উন্নয়নের কথা বলা হয়, যত উন্নয়ন তার চেয়ে বেশি চুরি করে। প্রকল্প পাস করে টাকা পকেটে ভরে। প্রজেক্টগুলো সময় মতো বাস্তবায়ন হয় না, প্রকল্প ব্যয় বাড়ানো হয়। তাদের পকেট ভারি করে। এই টাকা তারা বিদেশে পাচার করছে দেশেও রাখছে না। আওয়ামী লীগ ৭ বছর ক্ষমতায় থেকে কত টাকা পাচার করেছে জানেন? ৩০ হাজার কোটি টাকা। আপনারা এক বেলা খেয়ে থাকবেন। আর দেশের ৩০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে যাবে। বিদেশি পত্রিকা পানামার খবরে বাংলাদেশের কয়েকজনের নাম প্রকাশ হয়েছে। আরও রাঘববোয়ালের নাম আছে তা বলা হয়েছে। সেখানেও দেনদরবার করা হচ্ছে যাতে তাদের নামগুলো প্রকাশ করা না হয়। আওয়ামী লীগ যত দিন থাকবে দেশটা শেষ করে দিয়ে যাবে। দেশের কোনো প্রতিষ্ঠান তারা বাকি রাখে নাই। সবখানে চলছে ঘুষ, গুম, খুন।
বিএনপি প্রধান বলেন, আপনারা প্রতিদিনই শুনছেন বিএনপি নাকি শেষ হয়ে গেছে, আমাকে নিয়েও নানা কথা বলা হয়। কিন্তু আজ এই গরমের মধ্যে শ্রমিক সমাবেশে মানুষের এমন উপস্থিতি প্রমাণ করে বিএনপি রাজপথে আছে। বিএনপি জনগণের সঙ্গে আছে। মহিলা, কৃষক, যুবক সবার সঙ্গে আছে। আরা যারা জনগণকে ভয় পায় তারা কাঁচের ঘরে বসে, এয়ারকন্ডিশনের মধ্যে বসে প্রোগ্রাম করছে।
সম্পতিক সময়ের কয়েকটি হত্যাকান্ড প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, এত লোক মারা গেল। একটি হত্যাকারী, একজনকেও কি ধরতে পেরেছে সরকার। তাদের বিচার হয়েছে? তাদের ধরতে পারে নাই। কারণ এরা হলো আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সরকারের নলেজেই খুন গুম হচ্ছে। তার জন্য তাদেরকে ধরা যায় না। সাগর-রুনি সহ বহু সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছে। একজনের খুনিকেও ধরা হয়নি, বিচার করা হয়নি। খুনিরা জানে প্রটেকশন দেওয়া লোক আছে তাই এভাবে প্রতিনিয়তই খুন হচ্ছে। নায়াণগঞ্জের ৭ খুনের ঘটনার বিচার কী হয়েছে। আওয়ামী লীগ থাকাকালে তাদের কোনো বিচার হবে না। খালেদা জিয়া বলেন, আপনারা সবাই জানেন কর্ণেল জিয়া র‌্যাবের ডিডি ছিলেন। এখন তাকে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার পদবি দিয়ে র‌্যাব থেকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়েছে। কারণ সে সরকারের আদেশ নির্দেশে অনেক খুন-গুম করেছে। এখন তাকে এনএসআইয়ে ডিরেক্টর করা হয়েছে। এই জিয়াকে দিয়ে আরও গুম খুন করাবে। এর পরে যদি একটা গুম-খুন হয় তাহলে এই জিয়া কোনোভাবে দায়দায়িত্ব এড়াতে পারবে না। সরকারও পারবে না। আরেকজন আছে পুলিশে, বেনজীর। সেই অনেক গুম খুন করেছে। বড় দাপট দেখিয়েছে। প্রমোশন পাওয়া তো দুরের কথা আজ তারা বাইরে থাকার কথা নয়, জেলখানায় থাকার কথা। নিরিহ নেতাকর্মীরা জেলে যায়। তারা আজ প্রমোশন নিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়ায়। তিনি সরকার উদ্দেশ্যে বলেন, এসব গুম খুন বন্ধ করেন। পিলখানা হত্যাকান্ডের কথাও উল্লেখ করে বিএনপি প্রধান বলেন, এসব করেছেন। এর বিচার আল্লাহর পক্ষ থেকে হবে। এসময় তিনি বলেন, সংখ্যালঘুরাও আজকে নিরাপদ নয়। তাদের জীবন আজকে বিপন্ন। মন্দির ভাঙ্গা হচ্ছে। নির্যাতন করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের অত্যাচারে তারা শেষ হেয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংককের রির্জাভ চুরির ঘটনা উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, এ ব্যাংকে কোনদিন লুটের ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু হাসিনা সরকার এমন করেছে। এরা শুধু খাই খাই করে। সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, শেয়ার বাজার খাইসে। ডেসটিনি খাইসে। বাংলাদেশ ব্যাংকটা বাকি ছিল। সেটা খাবে। রির্জাভ চুরি হয় কিভাবে এর জবার কর্মচারী, অর্থমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে দিতে হবে।
এর আগে বিকেল ৪টা ১৫ মিনিটে সমাবেশে যোগ দেন বিএনপি প্রধান। ৫টার দিকে শুরু করেন প্রায় ঘণ্টা বক্তব্য দেন তিনি। দুপুর দেড়টার দিকে পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শ্রমিক সমাবেশ শুরু হয়। শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আসম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ আহমেদ বীর বিক্রম, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের সভাপতি নূরে আরা সাফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নাসিম, ছাত্রদলের সভাপতি রাজিব আহসান প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, সেলিমা রহমান, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, হারুন আল রশিদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. ওসমান ফারুক, অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, আবদুল মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিলকিস জাহান শিরিন, শ্যামা ওবায়েদ, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, গণ শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক নিতাই রায় চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আবু জাফর, গাজী নুরুজ্জামান বাবুল, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম নিরব, সাবেক ছাত্রনেতা আজিজুল বারী হেলাল, হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।
এ সমাবেশে ঢাকা ও ঢাকার আশপাশ থেকে বিপুল সংখ্যাক নেতাকর্মী যোগ দেন। নেতাকর্মীরা লাল পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে দলে দলে একত্রিত হন। দলীয় ও সরকার বিরোধী স্লোগান দিয়ে মাতিয়ে তোলেন পুরো এলাকা। এছাড়া মৎস্য ভবন এলাকায়ও অনেক নেতাকর্মীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন অংশে উত্তরমুখী করে মঞ্চ তৈরি করা হয়। সমাবেশের বক্তব্য প্রচারের জন্য উদ্যানের মধ্যে ৩০টির মতো মাইক লাগানো হয়। শ্রমিক সমাবেশে আগত নেতাকর্মীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য উদ্যানের ভেতরে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এবং জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয় । এদিকে শ্রমিক সমাবেশ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন সংলগ্ন গেট দিয়ে উদ্যানে প্রবেশকালে নেতাকর্মীসহ সবার শরীর তল্লাশি করে পুলিশ। পোষাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোষাকের পুলিশও উপস্থিত ছিল। ঢাকায় খালেদা জিয়ার সর্বশেষ জনসভা হয়েছিল গণতন্ত্র হত্যা দিবসে গত ৫ জানুয়ারি নয়াপল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে। আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ সমাবেশ হয় ২০১৪ সালের ২০ জানুয়ারি।

  • মানবজমিন

 

পাঠকের মতামত: