জামায়াত কি পাল্টে যাচ্ছে, না এর রূপান্তর ঘটছেÑ এমন জিজ্ঞাসা সবার। সম্ভবত দলটির আমির-মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতি এ ধারণা পুষ্ট করেছে। এ ধারণাও প্রতিষ্ঠিত ছিল যে, জামায়াত নিজের উদ্যোগে পাল্টে যাওয়ার দায়বোধ করে না। সংস্কারের গরজও নিজ থেকে উপলব্ধি করেছে বলে অনেকের ধারণার অতীত। এটা মিথ্যা নয় যে, রাষ্ট্রশক্তি বা তৎকালীন সরকার জামায়াতকে গঠনতন্ত্র পরিবর্তনে বাধ্য করেছে। বিংশ শতাব্দীর পঞ্চাশের দশকের শুরুতে জামায়াতের উদ্ভব। বার বার রাজনৈতিক বিষয় আষয় নিয়ে জামায়াত এক্সপেরিমেন্ট করলেও গুণগত পরিবর্তনের ধারায় যায়নি। অনেক চড়াই-উৎরাই দলটিকে কতটা প্রতিরোধশক্তি সঞ্চয়ের সুযোগ দিয়েছে, তার চেয়েও বড় কথা ‘সময়’, রাষ্ট্রশক্তির চাপ, বিশ্ব ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি দলটিকে এক কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি দাঁড় করেছে। নেতৃত্বের উল্লেখযোগ্য অংশ কারাবন্দী। শীর্ষ নেতাদের প্রায় বেশির ভাগ বিয়োগান্তক ট্র্যাজেডির শিকার। অসংখ্য কর্মী জেলে। অফিসগুলোতে তালা ঝুলছে। অর্থনৈতিক সামর্থ্যরে পাঁজর ভেঙে দেয়া হয়েছে। মামলা ঝুলছে হাজার হাজার। হুলিয়ার অন্ত নেই। এমন পরিস্থিতিতে কারো আত্মবিশ্বাস অটুট থাকে না। জামায়াতের নেতাকর্মীদের আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ়তা আগের মতোই কতটা টিকে আছেÑ এ দাবি নিয়ে সংশয় দেখা দিতেই পারে।
এখন শোনা যাচ্ছে, দলটির নেতৃত্বের যে অংশটি কার্যত আত্মগোপনে থেকে বিবৃতি সাজাচ্ছেন, তাদের সাথে মাঠের কর্মীদের সেতুবন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে না। তাই জনশক্তিবহুল দলটির পারঙ্গমতার মিথ আর এখন সেভাবে নেই। তাই বাধ্য হয়ে রূপান্তরিত প্রক্রিয়ায় একবিংশ শতকের উপযোগী করে দল না সাজালে আরো বিপর্যয় অনিবার্য বলেই কারো কারো ধারণা। তাই বোধ করি, ভেতর থেকেও সংস্কারের একটা গুঞ্জন রয়েছে।
পর্যবেক্ষক নয়, বিশ্লেষকের জায়গায় দাঁড়িয়ে বলবÑ জামায়াত যে চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতার মুখে পড়েছে, তা নতুন নয়। রূপ ও ধরন এক না হলেও মিসর থেকে তুরস্ক পর্যন্ত কম করে সাতটি উপমা দেয়া সম্ভব। যারা সময়ের সাথে লাগসই হয়ে টিকে আছে এবং মূল স্রোতে উঠে এসেছে। যারা পারেনি, তারা জায়গা ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে। এটা শুধু যোগ্যতমদের টিকে থাকা নয়, আদর্শিক বিবেচনার বিষয়ও। জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রচুর ঔৎসুক্য রয়েছে। নেতৃত্বসঙ্কটে পড়া জনশক্তিবহুল জামায়াত যে ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে রয়েছে, হুবহু মিল না হলেও আওয়ামী লীগ, জাসদ, বামপন্থী ধারা ও বিএনপিকে কোনো না কোনোভাবে রাজনৈতিক বিপর্যয় ঠেকাতে হয়েছে। এখনো ঠেকাতে হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-উত্তর আওয়ামী লীগ, জিয়া-উত্তর বিএনপি ঘুরে দাঁড়ালেও জাসদ ও বাম ধারা আর আগের অবস্থানে উঠে আসতে পারেনি। ভাববার বিষয় হলো, এত বিপর্যস্ত হওয়ার পরও জামায়াত কতটা সঙ্কটে রয়েছে, কী পরিমাণ বিব্রত, সেটা জানার জন্যও অনেকের আগ্রহ চোখে পড়ে। দলটি মিসআন্ডারস্টুড বা ভ্রান্তির বেড়াজালে নাকি রহস্যঘেরা, সেটাও এক প্রশ্ন বটে। এ দলটিকে যারা ভালো মনে করেন তারা বেশি ভালো মনে করেন, দলটির নেতৃত্বের দোষত্রুটি সীমাবদ্ধতা কিছুই দেখেন না। অখণ্ড আস্থায় নেন। যারা পছন্দ করেন না, তারাও যুক্তিহীন ভাবাবেগমিশ্রিত ঘৃণা উদগীরণ করেন। সম্ভবত দু’দিকের প্রান্তিক ভাবনা দলটিকে সঠিক মূল্যায়নের জায়গায় রাখে না। ভক্তদের মধ্যে তৈরি করে এক ধরনের মিথ, বিদ্বিষ্ট্রদের যুক্তিহীন সমালোচনা-নিন্দাÑ যা অনেক সত্য ও বাস্তবতাকে আড়ালে ঠেলে দেয়।
প্রতিষ্ঠার পর কম করে তিনবার নিষিদ্ধ হওয়া এবং কয়েকবার রাজনৈতিক সঙ্কটে পড়া দলটি নিয়ে কৌতুহল ও বিতর্ক কখনো কম ছিল না। তত্ত্বীয় ও নীতিগত প্রশ্নে সমালোচনা কখনো পিছু ছাড়েনি। একাত্তর-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে জামায়াত পুনর্গঠিত হওয়ার পর অল্প সময়ে শক্তি ও সামর্থ্য দুটোই সঞ্চয় করেছে। এর সাথে আদর্শিক ও রাজনৈতিক বিরোধিতাও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। দলটি বোধ করি, এখন ইতিহাসের এক ‘নাজুক’ সময় অতিক্রম করছে। এটি তাদের রাজনৈতিক ভুলের খেসারত, নাকি নীতিবিচ্যুতির প্রায়শ্চিত্ত, সেই প্রশ্নের জবাব চাওয়ার মতো মুখপাত্রও এখন খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। বাম ও ইসলামপন্থীরা, এমনকি কোনো কোনো বিপ্লবী আন্দোলন আন্ডারগ্রাউন্ড পলিটিক্স করে থাকে। গণতান্ত্রিক বিচারে এ ধরনের চরমপন্থা এক ধরনের হঠকারিতা বলে বিবেচিত হলেও কায়েমি স্বার্থবাদী গোষ্ঠী বা প্রতিপক্ষ নিপীড়ক রাষ্ট্রশক্তির বিরুদ্ধে এ ধরনের কৌশল বিপ্লবীদের কাছে ন্যায়সঙ্গত হিসেবেই বিবেচিত হয়। জামায়াত ধীরে ধীরে সেদিকে যাচ্ছে কিনা, কিংবা সরকার সেদিকে ঠেলে দিচ্ছে কিনা, সেটা বাংলাদেশের বাস্তবতায় সব পক্ষকে ভেবে দেখা উচিত। বিশেষত জনশক্তিবহুল জামায়াতকেই ভাবতে হবে তারা ‘সময়’ ও বাস্তবতা মেনে দেশ-জাতির মূল ধারায় কতটা নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্পৃক্ত হবে, কিভাবে হবে। সে ক্ষেত্রে তাদের অ্যাসেট কি, লায়বেলিটিজ কোনটি, তা নিয়েও না ভেবে উপায় নেই।
জামায়াত দাবি করে, তারা গতানুগতিক রাজনৈতিক দল নয়। কেন গতানুগতিক দলের বাইরে তাদের দেখতে হবেÑ সে ব্যাপারে তাদের বক্তব্য স্পষ্ট নয়। তারা ক্ষমতার রাজনীতি করে, ক্ষমতা শেয়ার করে, রাজনৈতিক শত্রু-বন্ধু ভাবনায় মন্দের ভালো বাছাই করে, প্রচলিত রাজনীতির আবর্তে থাকেÑ তার পরও কেন গতানুগতিক নয়, সে জবাব দেয়ার মতো মুখপাত্র এখন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কারণ, প্রকৃত মুখপাত্ররা এখন অতীত। নতুন প্রজন্ম কিংকর্তব্যবিমূঢ়। অর্গল ভাঙার সাধ আছে, সাধ্য নেই।
জামায়াত নিজেই নিষিদ্ধ হতে আগ্রহী; নতুন প্রজন্ম একাত্তরের দায় নিতে চায় না; যেসব নেতার সাথে একাত্তর সম্পৃক্ত, তাদের এড়িয়ে নতুন নেতৃত্ব পুনর্গঠিত দল পরিচালনা করতে আগ্রহী; সে ক্ষেত্রে নামের মোহ নতুন প্রজন্মকে আচ্ছন্ন করে না। এ ধরনের ধারণাগুলো বিভিন্ন মিডিয়ায় বলা হয়। জামায়াতের কোনো স্তরের নেতা প্রকাশ্যে এ ধরনের মন্তব্য করেছে বলে কোনো মিডিয়ায় চোখে পড়েনি। মিডিয়া ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ জামায়াত নেতাদের উদ্ধৃতি দিতেও কার্পণ্য করে না। জামায়াত আসলে কী ভাবে, সে বিষয়টি কারো কাছে শতভাগ স্পষ্ট আছে বলে মনে হয় না। সম্ভবত বেশির ভাগ জামায়াত নেতাও জানেন না তাদের কর্মকৌশলের ধরন কী হবে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারা কিভাবে নিজেদের উপস্থাপন করবেন। সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে জামায়াত নিয়ে নানা ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে। তাতে বিভিন্ন মন্তব্য ঠাঁই পাচ্ছে। দলটির ভবিষ্যৎ ভাবনা এমনভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, তাতে মনে হয় জামায়াত অনেক চিন্তা ও রূপকল্প নিয়ে ভাবছে। নিষিদ্ধ হলে কী করবে তাও জানিয়ে দিচ্ছে। তা হলে জামায়াতের সঙ্কট কোথায়!
রাজনৈতিক ভুলের খেসারত বা মাশুল রাজনৈতিকভাবে দিতে হয়। যেমন রাজনৈতিক মোকাবেলা রাজনৈতিকভাবে না করলে রাজনীতির মাঠে টেকা যায় না। আমরা জানি না, জামায়াত রাজনৈতিক ভুলগুলো শনাক্ত করেছে কিনা এবং সেই চিহ্নিত ভুলগুলো কী। এটা সত্য যে, রাজনৈতিক ভুলের জন্য জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার এবং ভুলের দায় নেয়ার সংস্কৃতি অনেক পুরনো। দেশবাসীর একটি অংশ মনে করে, জামায়াত প্রকাশ্যে ও ঋজু ভাষায় ভুল স্বীকার করে না। ‘যদি’ ‘কিংবা’ ‘কিন্তু’ যোগ করে যা বলে তাতে ভুলের স্বীকৃতি সেভাবে থাকে না। জনগণ সরাসরি বার্তাটি পায় না। এ বক্তব্য অংশত সত্য ভাবেন কেউ কেউ। অনেকের ধারণা, ভুলের স্বীকৃতি দিয়ে ক্ষমা চাইলেও পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে না। অপবাদ ঘুচবে না। আপদও কাটবে না। কারণ এসব অপবাদ একটি লক্ষ্যে পৌঁছতে দেয়া হয়।
জামায়াতের কোনো কোনো মুখপাত্র একসময় বলতেন, বাংলাদেশের বাস্তবতা, সংবিধান, রাষ্ট্রাচার, আইন-কানুন মেনেই তারা রাজনীতি করছেন। গঠনতন্ত্র সংশোধন করেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন নিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ ও সংসদে বসেছেন সংবিধান সনুন্নত রেখেই। তা ছাড়া একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বরের পর তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার প্রমাণ নেই। ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর ভেতর থেকে পাকিস্তানের অখণ্ডত্বের সপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন। যেমন মুজিবনগর কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া ৯ মাস ধরে লাখো লাখো কর্মকর্তা-কর্মচারী ইয়াহিয়া সরকারের আদেশ-নিষেধ মেনে চাকরি করেছেন এবং পাকিস্তানি সরকার টিকে থাকতে সাহায্য করেছেন। এই যুক্তি খণ্ডন করে অনেকেই বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী আর রাজনৈতিক দলের অবস্থান এক নয়। পাকিস্তানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো সমর্থন না জোগালে মুক্তিযুদ্ধ ন’ মাস প্রলম্বিত হতো না, এত লোক ক্ষয় হতো না। তা ছাড়া সশস্ত্র অবস্থান আর চাকরি করা সমার্থক হতে পারে না।
দলনিরপেক্ষ বিশ্লেষকদের অভিমত হচ্ছে, এখন প্রশ্ন একাত্তর নয়, জামায়াত নয়; প্রশ্নটা মৌলিক এবং সেটা বাংলাদেশের রাজনীতির নতুন বিন্যাস নিয়ে। প্রাতিষ্ঠানিক রাজনীতির বিচারে জামায়াতের অস্তিত্ব যেমন সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে, তেমনি বিএনপি-আওয়ামী লীগও সঙ্কটমুক্ত নয়। আওয়ামী লীগ যেভাবে মাঠ সাজিয়েছেÑ এ মাঠসজ্জা উনিশ সালে পাল্টে যাবে না, সে নিশ্চয়তা কে দেবে? শেখ হাসিনাবিহীন আওয়ামী লীগ আজকের দাপুটে অবস্থানে মোটেও থাকবে না। এরশাদবিহীন জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ কি ফকফকা? বৃহত্তম বিরোধী দল হয়েও খালেদা জিয়াবিহীন বিএনপিও এই অবস্থানে থাকবেÑ এ আশা বৃথা। তারেক রহমান এসে হাল ধরলে আলাদা কথা। সময়ের ব্যবধানে গ্লোবাল ও রিজিওনাল পরিস্থিতিও পাল্টে যেতে পারে। পাল্টে যেতে পারে ভারতীয় রাজনীতির নীলনকশাও। এখনো নিজামীদের মৃত্যুদণ্ড ভারতকে খুশি করে, পাকিস্তানকে বিব্রত করে। আঞ্চলিক রাজনীতির এ বাস্তবতা অস্বীকার করা যাবে, এড়ানো যাবে না। ভারতের প্রভাববলয়ের মধ্যে বাঙালি মুসলমানদের স্বার্থ যেমন ষোলআনা অুণœ থাকবে না, তেমনি শক্তিমান বাংলাদেশও অনেকের কাম্য নয়।
আমাদের জাতীয় রাজনীতির আসল ক্রাইসিস কোনো দলের সাময়িক সঙ্কট নয়। বিশেষ দলের ভবিষ্যৎ ভাগ্যও নয়। ইসলামি দলও নয়। হ্যাঁ, ইসলামের রাজনৈতিক উপস্থাপনা, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী ও ভারতীয় ইগোর সাথে সঙ্ঘাত সৃষ্টি করে। বামপন্থীদের দুশ্চিন্তার কারণ ঘটায়। এটা মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের একটা কারণ। একমাত্র কারণ নয়। প্রকৃত ক্রাইসিস জাতীয় রাজনীতির অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। অস্তিত্ববিনাশী একনায়কতান্ত্রিক ক্ষমতাচর্চার খেসারত। বাস্তবেই আমাদের নির্বাচনব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে। সংসদ আস্থাহীন। বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের রাহুমুক্ত নয়। দলবাজ সিভিল ও অন্যান্য ব্যুরোক্রেসি ক্ষমতার স্বাদ নিয়ে পরিতৃপ্ত, আবার পেশাদারিত্ব হারিয়ে পঙ্গুও। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় এক ধরনের নৈরাজ্য চলছে। লুটেরা চক্র ডিজিটাল ডাকাতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। পররাষ্ট্রনীতি হয়ে পড়েছে একমুখো ভারসাম্যহীন। এ অবস্থায় ফিতা কাটা ও উদ্বোধনের রাজনীতি শেষ কথা নয়। কিছু কসমেটিক উন্নয়ন আর মেগা প্রজেক্ট রাজনীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকতায় টেনে তুলবে না। দলবাজ ও একচোখা মিডিয়া এক ধরনের প্রোপাগান্ডা যন্ত্রের রূপ নিয়েছে। ভিন্নমতকে খামোশ করে রাখতে গিয়ে কর্তৃত্ববাদ ও বোধহীন ক্ষমতাচর্চার বেপরোয়া ভাব আর রাখঢাক অবস্থায় নেই। বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার মুখে কালো কাপড় বেঁধে দেয়া হয়েছে। তাই আসল সঙ্কট চিহ্নিত হচ্ছে না।
বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য সুদিন অপেক্ষা করছেÑ এমনটি দাবি করার সুযোগ নেই। বরং রাজনীতি গভীর খাদের কূলে এসে দাঁড়িয়েছে। সে ক্ষেত্রে জামায়াত-অজামায়াত, ডান-বাম চিন্তা মুখ্য নয়। মুখ্য বিষয় হচ্ছেÑ রাজনীতির ব্যাকরণ পাল্টে দিয়ে, গণতন্ত্রের কবর দিয়ে দেশ ও জাতির দণ্ডমুণ্ডের মালিক-মোখতার হওয়া শেষ রক্ষার উপায় কি না, সেটা ভেবে দেখতে হবে। আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্রের আইয়ুবি ধারণার শেষ পরিণতি কী হতে পারে, তা মাথায় রাখতে হবে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো বিশেষ দল ফ্যাক্টর নয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের যে অভিযোগ আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা চলছেÑ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবজ্ঞা ও অপদস্ত করার যে ওভার কনফিডেন্স আমরা দেখাচ্ছি, সেটা আমাদের অসহনীয় বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে কি না, সেটাও ভাবছি না। ভাবছি না উত্তরণের উপায় নিয়েও।
- দুর্নীতির আখড়ায় কক্সবাজার সিটি কলেজ
- চকরিয়ায় ব্যবসায়ীকে ঢেকে নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই
- বদরখালী সমিতির ১১টি মৎস্য প্রকল্পের নিলাম নিয়ে বিরোধ
- রামুতে আপন ভাতিজিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি
- রামুতে ল্যাপটপ পেলেন ৮০ নারী ফ্রিল্যান্সার
- চকরিয়ায় আওয়ামিললীগ ক্যাডার নজরুল সিণ্ডিকেটের দখলে ৩০ একর বনভুমি:
- চকরিয়ায় শিক্ষা ক্যাডার মনিরুল আলমকে ঘুষের বদলেগণপিটুনি
- চকরিয়ার বিষফোঁড়া সিএনজি-টমটম স্টেশন
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- চকরিয়া আসছেন চরমোনাই পীর মুফতি রেজাউল করিম
- চকরিয়ায় দুই বেকারি-সহ ম্যানেজারদেরকে এক লাখ টাকা জরিমানা
- চকরিয়া সদরের বক্স রোড সম্প্রসারণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
- বহিরাগতদের নিয়ে কলেজে গেলেন পদত্যাগ করা বিতর্কিত অধ্যক্ষ মুজিবুল আলম
- চকরয়ার ঠিকাদার মিজান গ্রেফতার, কোটি টাকার ঋণের জেল-জরিমানার দায়ে
- কক্সবাজার আবাসিক হোটেলে ৭০ ইউপি সদস্যের ‘গোপন বৈঠক’, আটক ১৯
- চকরিয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ২টি ডাম্পার ও স্কেভেটর জব্দ
- চকরিয়ার রশিদ আহমদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয় : কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে
- উত্তপ্ত রামু সরকারি কলেজ: অধ্যক্ষ মুজিবের অপসারনের দাবিতে কার্যালয় ও প্রশাসনিক ভবনে তালা
- কুতুবদিয়ায় গর্তে ১০ লক্ষ মণ পুরাতন লবন,লোকসানের শংকা চাষীরা
- রামুতে ট্রেনে কাটা পড়ে মোটর সাইকেল আরোহী দুই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
- চকরিয়ার সাবেক এমপি জাফর আলম, সালাহউদ্দিনসহ আওয়ামী লীগের ৭৩৬ জন আসামী
- মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
পাঠকের মতামত: