ঢাকা,সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ওসিসহ ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ

shah_ali_babul_matubbar_3744নিউজ ডেস্ক ::

রাজধানীতে চা দোকানের চুলার আগুনে বাবুল মাতুব্বর নিহতের ঘটনায় শাহআলী থানার ওসি একেএম শাহীন মণ্ডলসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। অন্য চার পুলিশ সদস্য হলেন- এসআই মোমিনুর রহমান খান, এসআই নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ সরকার ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন।

এর আগে রোববার ডিএমপি সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটিও চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ এবং ওসি একেএম শাহীন মণ্ডলের দায়িত্ব গাফেলতির উল্লেখ করে প্রত্যাহারের সুপারিশ করে। ইতোমধ্যে চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও ওসিকে থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে শাহআলী গুদারাঘাটে কিংশু সিটির গেটের পাশের চা দোকানি বাবুল মাতুব্বর চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে অগ্নিদগ্ধ হন। পরদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় মিরপুর পুলিশ বিভাগের একটি কমিটি অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে। মঙ্গলবার বিকালে মিরপুর পুলিশ বিভাগের উপ-কমিশনার মো. কাইয়ুমুজ্জামানের কাছে এই প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।

ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মারুফ হোসেন সরদার যুগন্তরকে বলেন, মঙ্গলবার বিকালে তদন্ত কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- এসআই নিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, এসআই মোমিনুর রহমান খান, এএসআই দেবেন্দ্রনাথ সরকার ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন ঘটনাস্থালের কাছাকাছি অবস্থান করছিলেন।

কিন্ত তারা বাবুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। দায়িত্বে অবহেলা না থাকলে তারা দগ্ধ বাবুলের শরীরের আগুন নিভিয়ে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্ত তারা তা করেননি। ওসি একেএম শাহীন মণ্ডল সামগ্রিক তদারকি ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। বাবুল মাতুব্বর নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার দিনভর পুলিশের সোর্স দেলোয়ার হোসেন, রবিন ও আইয়ুব আলীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালায় ডিবি।

পাঠকের মতামত: