অনলাইন ডেস্ক :::
টুকটুকে লাল ষাঁড়। চাঁদের মতো বাঁকানো শিং। সাগরিকা রোডের পাশে ডোগায় বাঁধা হয়েছে। গরুটি দেখতে বাড়ছে উৎসুখ মানুষের ভিড়। সেলফি ও ছবি তুলছেন তারা। ষাঁড়টিও হেলেদুলে–ফুসফাঁস করে আনন্দ দিচ্ছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টায় এমন দৃশ্যটি দেখা যায় নগরীর বড় গরুর বাজার সাগরিকা বাজারে। গরুটি বাজারে এনেছেন কুমিল্লার বাসিন্দা এমদাদুল হক ইমরান। দাম হাঁকাচ্ছেন সাড়ে ৭ লাখ টাকা। প্রবাসি ইমরান শখের বশে গরু লালন–পালন করেন। শখের গরু বিক্রি করছেন লাখ টাকায়। এমদাদুল হক বলেন, রাজশাহীর সুলতানপুর থেকে
গরুটি কিনেছিলেন। ভুটানের জাত। ৪ মাস ১০ দিন ধরে লালন–পালন করে হৃষ্টপুষ্ট করে বিক্রির জন্য বাজারে এনেছেন। গরুটির নাম ‘সুলতান’ নাকি। এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘না, ‘রকি’। রাখালই নামটি দিয়েছে। এটি ছাড়াও আরও ১৪টি গরু বাজারে এনেছেন তিনি। সেগুলোও আকারে বড়।
এমদাদুল হক সৌদি আবর প্রবাসি। চার সহোদররের সঙ্গে গরু লালন–পালন করেন। এক সময় শখের বশে গরু লালন–পালন করতেন। চার ভাই মিলে এবার ৭৪টি গরু বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছে। তিনি বলেন, বড় গরুটি সঙ্গে আরেকটি ফ্রি দেয়া হবে। অর্থাৎ একটির সঙ্গে আরেকটি ফ্রি।
এমদাদুল হক জানান, কোরবানির ঈদের পর বিভিন্ন স্থান থেকে গরু সংগ্রহ করা হয়। চার ভাই ও রাখালরা এসব গরু দেখাশোনা করেন। তিনিও কয়েক মাস পর পর দেশের আসেন। কোনো প্রকার ক্ষতিকারক খাদ্য মিশানো ছাড়া খৈল–ভূষি, খড়, চিড়ার গুড়া, জাউ ভাত, ছোলা, মিঠা (গুড়) খাবানো হয়। গো–খাদ্যের উচ্চ মূল্যের মধ্যেও গরু লালন–পালন করেন। তিনি বলেন, ক্ষতিকারক ওষুধ খাইয়ে গরু মোটাতাজাকরণে অনেক ঝুঁকি থাকে। তাই লাভ কম হলেও প্রাকৃতিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হৃষ্টপুষ্ট করে কোরবানির হাটে আনা হয়। তিনি বলেন, আরও একটি বড় গরু রয়েছে। সাদা রঙের। দু–একদিন পর বাজারে আনা হবে। তবে রঙ সাদা হওয়ার দামও একটু কম পড়ে। কারণ কোরবানির হাটে লাল রঙের গরুর কদর ও দর বেশি থাকে।
পাঠকের মতামত: